মিয়া তানসেন – উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতের অমর প্রতীক।।।।

মিয়া তানসেন, ১৫০৬ সালে রামাতনু পান্ডে হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে পালিত হয়। হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তাঁর অবদানগুলি স্মরণীয়, যা আজকের এই ধারাটিকে রূপ দেয়। তানসেন, মূলত ভারতের গোয়ালিয়রের একটি হিন্দু পরিবারের, মুঘল সম্রাট আকবরের দরবারে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি সঙ্গীত সম্রাট উপাধি অর্জন করেছিলেন।

বৃন্দাবনে হরিদাস স্বামীর নির্দেশনায় তাঁর সংগীত যাত্রা শুরু হয়েছিল, যেখানে তিনি বিভিন্ন রাগ আয়ত্ত করেছিলেন এবং একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত শিল্পী হিসাবে আবির্ভূত হন। তার সঙ্গীত, তার অলৌকিক প্রভাবের জন্য পরিচিত, গভীরভাবে প্রভাবশালী ছিল এবং জেনারের বংশের মাধ্যমে অনুরণিত হতে থাকে।
তানসেনের জীবন কিংবদন্তিতে সমৃদ্ধ ছিল, তার সঙ্গীতের সাথে দেয়াল সরানো থেকে শুরু করে প্রদীপ জ্বালানো এবং তার অভিনয়ের মাধ্যমে বৃষ্টি প্ররোচিত করা। পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তিনি হযরত গাউসের অধীনে সঙ্গীত ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা অব্যাহত রাখেন। যদিও তার ধর্মান্তর নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকে, একজন সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে তানসেনের উত্তরাধিকার অবিসংবাদিত। সম্রাট আকবরের দরবারে নবরত্নদের একজন হওয়ার আগে তিনি রেওয়ারের বান্ধবগড়ের রাজা রামচন্দ্রের দরবারে কাজ করেছিলেন। তানসেনের দুই স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তান ছিল, তার বংশধারা সঙ্গীত জগতে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।
মিয়া তানসেনের শেষ বিশ্রামস্থল গোয়ালিয়রে শেখ মুহম্মদ গাউসের সমাধি কমপ্লেক্সে, যা তার চিরস্থায়ী উত্তরাধিকারের প্রমাণ। কমপ্লেক্স, তার অনন্য স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য সহ, তানসেনের সমাধি তার পরামর্শদাতা সেন্ট গাউসের সাথে রয়েছে। মার্বেল দিয়ে নির্মিত এবং খড়ের প্যাভিলিয়ন দিয়ে সজ্জিত এই কাঠামোটি কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞের একটি স্মারক হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে যার হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রভাব আজও অনুভূত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *