আলিপুরদুয়ার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বাড়িতে বসবাস করলে সরকারিভাবে একটি নম্বর থাকতে হবে। কিন্তু সেই নম্বর নিতে হবে টাকা দিয়ে! এমন গুরুতর অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ফালাকাটা ব্লকে শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতের উমাচরণপুর গ্রামে। এমনকি
ফালাকাটার বিডিওর নাম ব্যবহার করে স্থায়ী গৃহ নম্বরের কার্ড পরিপ্রেক্ষিতে টাকা নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোভ উঠেছে সংশ্লিষ্ট গ্রামপঞ্চায়েতে বিরুদ্ধে।
যদিও এবিষয়ে ফালাকাটা বিডিও অনিক রায়ের সাফ বক্তব্য, এমন কোনো নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। বিডিও বলেন,’গত তিন মাস আগে কেন্দ্র সরকারের একটি নির্দেশিকা এসে ছিল। সেই চিঠিটি সমস্ত গ্রামপঞ্চায়েতে অফিসে পাঠানো হয়েছিল। কোনো ক্যাম্প করার বা কোনো উপভোক্তাতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এদিনের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি গ্রামপঞ্চায়েতে প্রধান এমন কিছু বলে থাকেন তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিন দুপুর প্রায় ১২ টা নাগাদ ব্লকের শালকুমার গ্রামপঞ্চায়েতের উমাচরনপুর বেসিক স্কুলের মাঠে কলকাতার একটি ঠিকাদারি সংস্থার পক্ষ থেকে ক্যাম্প বসে। সেই ক্যাম্প থেকে উমাচরণপুর এলাকার বাসিন্দাদের স্থায়ী গৃহ নম্বর কার্ড দেওয়ার বিনিময়ে ৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু টাকা দিলেও কোনো রসিদ দেওয়া হচ্ছিল না। যাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন বাসিন্দারা। পরে কিছু বাসিন্দাকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় ওই ঠিকাদারি সংস্থা।স্থানীয় বাসিন্দা প্রমানন্দ হালদার,হাসান আলী মিঞা ,সুভাষ সরকারা বলেন, আমাদের গ্রামপঞ্চায়েতের অফিস থেকে জানানো হয় সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা স্থায়ী গৃহ নম্বর কার্ড নিতে যাই।সেখানে গিয়ে কার্ড প্রতি ৩০ টাকা করে চাওয়া হয়। কিন্তু কোনো রসিদ না দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ দেখাই।’ পাশাপাশি পরিবার একটি থাকলেও ভুল বুঝিয়ে ছেলে থাকলে আরো কার্ড দিয়ে টাকা নিচ্ছিল পরে ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা গীতা মন্ডল স্বামী নিখিল মন্ডল বলেন, গ্রামপঞ্চায়েতে অফিস থেকে প্রধান যা নির্দেশ দিয়ে ছিল সেই পরিপ্রেক্ষিতে ৩০টাকা বিনিময়ে কার্ড দেওয়া হচ্ছিল। অপর দিকে ঠিকাদারি সংস্থা এক কর্মী জানায় আমি কাজ কাজের জন্য কার্ড প্রতি ৫টাকা দেওয়া হবে বলে কথা হয়েছিল। এবিষয়ে গ্রামপঞ্চায়েতে প্রধান বিউটি ঘোষ বলেন, টাকা নেওয়া হলেও রশিদ দেওয়া হয়নি এটা ভুল হয়েছে। পাশাপাশি একই পরিবারে দুইটা বা তিনটা কার্ড দেওয়া ঠিক হয়নি। বিষটি খোঁজ নিচ্ছি। তবে বিডিও সাহেব সেই চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল সেই পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply