বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে,প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে।

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:-বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার সকাল থেকেই এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে।

চ্যাংরাবান্ধা বন্দর দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে। প্রতিদিন গড়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯০টি ট্রাকে পণ্য এই বন্দর দিয়ে ভারতে এবং ভুটানে প্রবেশ করে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

তবে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও ভারত থেকে রপ্তানি বাণিজ্য এখনই প্রভাবিত হয়নি। ব্যবসায়ীদের একাংশের মত, “আগে দেশ, তারপর বাণিজ্য। দেশের স্বার্থে যা ভালো, তাই মান্য করা উচিত।”

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তর শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, এখন থেকে বাংলাদেশি রেডিমেড পোশাক শুধুমাত্র কলকাতা ও মুম্বইয়ের নাভা শেভা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা যাবে। পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে এই ধরনের পোশাক আমদানির অনুমতি থাকবে না।

এছাড়া, রেডিমেড পোশাক ছাড়াও সুতির পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, ফল ও প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বেশ কিছু বাংলাদেশি পণ্যের আমদানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে এইসব পণ্য এখন থেকে অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় কিংবা মিজোরামের কোনও শুল্ককেন্দ্র দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না।

তবে ভারত হয়ে নেপাল বা ভুটানে এই পণ্যের রফতানিতে কোনও বাধা নেই বলে জানানো হয়েছে।

চ্যাংরাবান্ধা শুল্ক দপ্তরের এক কর্তা জানান, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশ দেবে, আমরা সেই নির্দেশ মেনেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করব।”

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *