কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: – মমতা সরকারের “নারী ক্ষমতায়ন” এর প্রচারে তৈরি হল শর্ট ফিল্ম “পঞ্চায়েতের হাসবেন্ড”। রবিবার কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ও বিধায়ক সঙ্গীতা রায় তাঁদের বাসভবনে ফিল্মটি আনুষ্ঠানিকভাবে রিলিজ করেন। ফিল্মের পর্দায় বিধায়কের ভূমিকায় রয়েছেন বিধায়ক সঙ্গীতা রায়। ফিল্মের পরিচালক ও নির্দেশক পার্থসারথি রায়।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন কোচবিহার জেলা পরিষদ সদস্যা শ্রাবণী ঝাঁ, দিনহাটা ১ ব্লকের গোসানিমারি ১ পঞ্চায়েত প্রধান মানিক চন্দ্র বর্মন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে পঞ্চায়েতের হাসবেন্ড হিসেবে অভিনয় করেছেন পরিচালক ও নির্দেশক স্বয়ং। পঞ্চায়েত মৌলি রায়ের ভূমিকায় রয়েছেন দীপ্তি বর্মন।
হাসবেন্ডের খবরদারির জেরে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যাকে দিনের পর দিন জনসংযোগে দেখা যায় না। বিষয়টি এরকম যে, “আমি পঞ্চায়েতের হাসবেন্ড মানে আমিই পঞ্চায়েত”। কিন্তু জনগন তাতে সমস্যায় পড়েন।
বর্তমান সময়েও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের ব্রাত্য করে রাখার প্রবনতা এই ছবিতে ফুটে উঠেছে। কঠিন বাস্তব পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে মৌলি মুক্তির স্বাদ পেতে ছটফট করেন। প্রতিবাদ করেন জনগণ। হাসবেন্ড গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়তে থাকেন।
চিত্রনাট্য পাল্টে যায় যখন হাসবেন্ড তাঁর মানসিকতার পরিবর্তন করে স্ত্রীর পাশে দাঁডান। আনন্দধারা, লক্ষীরভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পেথ কথাও ছবিতে স্পষ্ট। ইতিপূর্বে পার্থসারথি রায়ের পরিচালনায় ও নির্দেশনায় কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি জনমুখী প্রকল্পের প্রচারে নির্মিত শর্ট ফিল্ম “সামাজিক দায়ভার”।
সঙ্গীতা রায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নারী ক্ষমতায়নের বার্তা প্রচারে নির্মিত এই শর্ট ফিল্মে বিধায়ক হিসেবে অভিনয় করতে পেরে আমি গর্বিত।
জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলায় বিশেষ করে ত্রিস্তর
পঞ্চায়েতে এখনও নারী জনপ্রতিনিধিদের ১০০ শতাংশ কাজের ময়দানে অনুপস্থিত। এই শর্ট ফিল্ম সেক্ষেত্রে বিশেষ বার্তাবাহী। পার্থসারথি রায়কে আমার এবং মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অনেক ধন্যবাদ।
পার্থসারথি রায় জানান, পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বেড়াজাল ভেঙে নারী ক্ষমতায়নের পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে ফিল্ম বিশেষ বার্তা বহন করবে।
Leave a Reply