স্থানীয় মানুষের জীবিকা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাল বীজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ।

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা;- জঙ্গলমহলের প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে শাল বীজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলগুলোতে শাল গাছ ও এর বীজ প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। এই বীজ স্থানীয় মানুষের জীবিকা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে। শাল বীজ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এছাড়াও এর তেল ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন কাজে, যেমন – ঔষধ তৈরীতে, গাঁটের ব্যথা, মাথা ব্যথা, সর্দি-কাশি ও কৃমি নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।

চলতি সময়ে জঙ্গলমহলের বেঠুয়ালা, কুল্যাম বিভিন্ন গ্রামে গেলে দেখা যাবে গ্রামের মহিলারা শাল বীজের খোসা ছাড়াতে ব্যস্ত। চলতি কথায় একে বলা হয় শালুই বীজ। শাল গাছের নীচে বীজগুলো পড়ে থাকে। সেগুলো কুড়িয়ে এনে রোদে শুকিয়ে তার ভেতর থেকে বাদামের মত বীজ বের করে বিক্রি করা হয়। মহিলারা জানান, গ্রামেই গাড়িতে করে মহাজনরা কিনতে আসে। আঠারো থেকে কুড়ি টাকা কেজি করে বিক্রি হয়। এক কথায় বলতে গেলে বর্তমান সময়ে জঙ্গলমহলের অন্যতম বনজ সম্পদ হল এই শালবীজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *