বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এবার রানীবাঁধ ব্লক যুব তৃণমূলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সভাপতি বলরাম মাঝি, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুম্ভকার সহ বেশ কয়েক জনকে ‘বের করে’ দেওয়ার অভিযোগ উঠলো। আর এই কাজটি করেছেন দলের রানীবাঁধ ব্লক তৃণমূল সভাপতি চিত্ত মাহাতোর শ্যালকের ছেলে, স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা অরুপ মাহাতো করেছেন বলে অভিযোগ।

ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ‘বাদ’ যাওয়া বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুম্ভকারের দাবি, শুধু তাঁকে একা নয়, রানীবাঁধ ব্লক যুব তৃণমূলের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সভাপতি বলরাম মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভীমসেন মণ্ডল, আই.এন.টি.টি.ইউ.সি সভাপতি, বেশ কয়েক জন অঞ্চল সভাপতিকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজটি করেছেন রানীবাঁধ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি চিত্ত মাহাতোর শ্যালকের ছেলে অরুপ। ওই অরুপ ব্লক সভাপতি চিত্ত মাহাতোর সমস্ত কাজ দেখা শোনার কাজ করেন, এমনকি জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের কাজে তাকে নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি ব্লক সভাপতি সবাইকে বাদ নিজের ইচ্ছায় দল পরিচালনাকযেন, এমনকি দলকে তিনি দলকে ‘পৈতৃক সম্পত্তি’ হিসেবে মনে করেন বলেও তিনি দাবি করেন। ইতিমধ্যে পূরো বিষয়টি তিনি দলের জেলা সভাপতি সহ শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বলেও জানান।

এবিষয়ে রানীবাঁধ ব্লক তৃণমূল সভাপতি চিত্ত মাহাতোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ফোনের সমস্যার জন্য এটা হয়েছিল। দোকানে গিয়ে ফোন সারাই শেষে সকলকে আবারও গ্রুপে যুক্ত করা হয়েছে। তবে যে যাই বলুক সকলকে নিয়েই তিনি দল পরিচালনা করেন বলেও তিনি জানান।

বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায় এবিষয়ে বলেন, আপনাদের কাছেই বিষয়টি শুনলাম, খোঁজ নিয়ে দেখছি। দলের রানীবাঁধ ব্লক সভাপতির সঙ্গে কথা বলে সকলকে সঙ্গে নিয়েই চলার বার্তা তিনি দেবেন বলে জানান।