পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পহেলগাঁও ইস্যুতে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুর মেলালেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে সমালোচনা করে শুভেন্দু অধিকারী আবার বলেন মুখ্যমন্ত্রী পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট করছেন। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার সুজন চক্রবর্তী কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। তিনিও প্রশ্ন তোলেন কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, জঙ্গিরা কোথায় পালিয়ে গেল সে সব প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকও এড়িয়ে গিয়েছেন বলেও মনে করিয়ে দেন সুজন।
আবার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা উঠে এসেছে সুজন চক্রবর্তীর গলায়।
উদয়ন গুহকে নিয়ে শুভেন্দুর কটাক্ষ প্রসঙ্গে বলেন, এ নিয়ে তিনি কিছু বলতে চান না। কারণ এরা মাঝ রাস্তায় ঝুলে থাকা পার্টি। ধান্দা বুঝে পার্টি করে। পাশাপাশি সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য জমির ব্যবস্থা করা প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য জমি দিতে চায়নি। রাজ্য সরকার যে খুব একটা সদর্থক মনোভাব নিয়ে চলছে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। সীমান্তে যে জায়গাগুলোতে গ্যাপ আছে সেগুলি আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা উচিত।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সিবিআই চতুর্থ রিপোর্ট দিয়েছে শিয়ালদা কোর্টে। সে প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, সিবিআইয়ের রিপোর্ট নিয়ে মানুষ সন্তুষ্ট নন। এবং স্বাভাবিক কারণেই অভয়ার বাবা মাও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। রাজ্য সরকার যা চেয়েছিল, সিবিআই বরং তাতেই স্ট্যাম্প মেরেছে। সে প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যে চিটফান্ডের তদন্তের প্রসঙ্গে টেনে সিবিআইয়ের সমালোচনা করেন। কারণ সিবিআইয়ের দিল্লির প্রভুরা চান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে সমস্যায় না পড়েন।
মেদিনীপুরে ২ ছাত্রীর উপর পুলিশের অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে রাজ্যের ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেন সুজন চক্রবর্তী। অন্যদিকে অপারেশন সিন্দুর নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনকেও কটাক্ষ করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, যে অধিবেশ সংসদে দিল্লির সরকারের ডাকা উচিত ছিল তা ডাকা হল না। হয় তো দিল্লির নির্দেশেই রাজ্যে ডাকা হয়েছে। দিল্লির সরকার বলেছে, বোন আমার ডেকে দাও, ডেকে দিয়েছেন। বিধানসভায় গালিগালাজ পাল্টা গালিগালাজ যা হল তাতে মনে হচ্ছে অনুব্রত সিন্ড্রোম শুরু হয়ে গিয়েছে। সংসদিয় গণতন্ত্রে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।
Leave a Reply