উত্তর দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- তরুণী খুনের তদন্ত করতে আসামিকে নিয়ে সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন চোপড়া থানার পুলিশ। কিভাবে খুন করা হয়েছে সমস্ত কিছু সরজমিনে তদন্ত করলেন চোপড়া থানার পুলিশ। এই দিন তদন্তে উদ্ধার হয় নিহত তরুণীর ওড়না, জুতা, এবং যেই দড়ি দিয়ে মারা হয়েছিল সেই দড়ি। নিজের হাতে আসামী সেগুলো বের করে পুলিশের হাতে দেয়। উল্লেখ্য গত ৮ই জুন চোপড়ার কলোনি এলাকায় চা বাগান থেকে লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের যত্রাগছ গ্রামের তরুনীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।। নিশংসভাবে খুন হতে হয়েছিল ওই যুবতী, যুবতীকে খুন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল হবু স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছিল চোপড়া ব্লকের লক্ষ্মীপুর এলাকায়। যুবতীর পরিবার সূত্রে জানা গেছিল বেশ কিছুদিন আগে যুবক-যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল, আগামী ১৯ তারিখ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের কথাও ছিল, তবে এরই মধ্যে যুবতীর খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে, এই ঘটনায় লক্ষীপুর এলাকার ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, যুবতীর পরিবার সহ এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল চোপড়া ব্লকের যোগীভিটা এলাকার বাসিন্দা সুলতানের সাথে প্রায় দেড় মাস আগে লক্ষ্মীপুর এলাকার ওই যুবতীর সাথে বিয়ে ঠিক হয়, গত ৭ তারিখ রাত থেকে ওই যুবতীকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছিল না, এরপর থেকেই যুবতীর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে, গতকাল হঠাৎই এই দুঃসংবাদ যুবতীর পরিবারের কাছে এসে পৌঁছায়, কান্নায় ভেঙে পড়েন যুবতীর পরিবারের লোকজনেরা, লক্ষ্মীপুর এলাকার রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল স্থানীয়রা, তাদের দাবি এই ঘটনার সাথে আরো অনেকেই যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তারা, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানোর পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা, শাস্তির দাবি চেয়েছিলেন লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয়রা, এলাকায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী, তবে প্রশ্ন জাগছে যেখানে আগামী ১৯ তারিখ যুবক-যুবতীর আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়েছিল, সেখানে কেন ওই যুবতীকে খুন হতে হলো, কিংবা এর পিছনে আরো কোন ঘটনা বা রহস্য রয়েছে কিনা, সম্পূর্ণ বিষয়টি চোপড়া পুলিশের পক্ষ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে, তবে ওই ঘটনায় আজ আসামিকে নিয়ে সরাসরি এলাকায় ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন চোপড়া থানার পুলিশ।
তরুণীকে কিভাবে খুন করা হয়েছে সমস্ত কিছু সরজমিনে তদন্ত করলেন চোপড়া থানার পুলিশ।

Leave a Reply