ধুপগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ১৩০০ এরেও অধিক ভোটার এই গ্রামে। দৈনন্দিন ৫০০ পরিবারের যাতায়াত। অথচ বাম আমল কেটে গিয়ে তৃণমূল আমল চললেও জন্ম লগ্ন থেকে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে চলেছে গোটা গ্রাম। একাধিক অভিযোগ। সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু সুরাহার নাম গন্ধ নেই এই গ্রামে। আমরা কথা বলছি জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহকুমার ঝার আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাঠুলিয়া গ্রামের। উত্তর কাঠুলিয়ার ১৫/৬০ ভোট বাক্সের নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। এই গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা বেহাল। বর্ষা না আসতেই গোটা রাস্তা আসতো কাদা জমিতে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকির যাতায়াত চলছে। এই গ্রাম থেকে বাইরে অর্থাৎ ধুপগুড়ি কিংবা ডাউকিমারি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে স্কুল কলেজ যেতে জরুরি পরিষেবা হাসপাতাল দমকল এমনকি এই এলাকার মানুষের উৎপাদিত ফসল বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করতে একমাত্র ভরসা খট্টিমারি – কাঠুলিয়া গিলান্ডি ব্রিজ সংলগ্ন কৈলাসের বাড়ি হয়ে ডাউকিমারী ওঠার প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। গোটা গ্রামের মানুষের একমাত্র যাতায়াতের ভরসায়ী রাস্তা আজও তৈরি হয়নি। গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন। তাদের দাবি ২৬ এর নির্বাচনের আগে রাস্তা সংস্কার না হলে কোনোভাবেই কোন রাজনৈতিক দল তাদের থেকে ভোট পাবে না। উন্নয়নের নামে প্রত্যেক বছর একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে ভোট নিয়ে সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষক পরিবারের মানুষকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। যদিও গোটা বিষয় নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত অবশ্য সাফাই দিয়েছেন। তার দাবি তিনি ১৫/৬০ উত্তর কাঠুলিয়ার এই পার্টের মানুষের ভোটে জয়ী হয়েই এই একমাত্র রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলে ধরেছিলেন জেলা পরিষদে। জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের নিয়ে রাস্তার পরিদর্শনও করেছেন। পাশাপাশি তিনি এদিন আরো দাবি করেন এবারের বর্ষা কাটতেই এই রাস্তা পুরোপুরি ভাবে বানিয়ে দেওয়া হবে।। যায় ইতিমধ্যেই কাগজে-কলমে সমস্ত কাগজপত্র জমা করা হয়ে গিয়েছে। তবে গ্রামবাসীরা আর প্রতিশ্রুতি মানতে নারাজ। এবারে রাস্তা তৈরি করে না দিলে ভোট বয়কট করবেন এমনটাই স্থায়ী সিদ্ধান্ত তাদের।
ধুপগুড়ি মহকুমার ঝার আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাঠুলিয়া গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা বেহাল।

Leave a Reply