রোদ উঠে উঠোনটা শুকিয়ে গিয়ে ছিলো,
তবে কি রাতে বৃষ্টি হয়েছিলো?
গোলাপের গাছ গুলোতে জলের কণা বসে আছে অবিচল।
হয়তো কারো অলক্ষ্যে সে এসেছিলো বুড়ো আঙুলের ছাপ এ ছাপ তো নীরবতার আমার পরিচিত;
এই উপলব্ধি এক মাত্র আমার
চোখের দৃষ্টি ছিলো স্নেহপূর্ণ কোমল বারবার আমি হারিয়ে যেতে চাইতাম কিন্তু কোন দিন কোন উত্তর পাইনি;
তবুও দৃষ্টির বিনিময় নীরবে অনেক কথাই হতো।
হয়তো স্বপ্ন ছিলো হাঁটুর নিচে ঘুমিয়ে পড়ার,
স্বপ্নরা এখন একা নিদ্রাহীন ঘুরে বেড়ায় চার পাশে-
আজ অচেনা লাগে পথগুলো সময়ের সাথে সব গেছে বদলে।
আজ আমি একা কাকে ডাকবে স্বপ্নেরা;
তুমি তো সেই কবে নিয়েছো বিদায়।
বেয়াড়া মন কোথায় দিয়ে পাড়ি-
প্রতিদিন ভোরে আমাকে গান শোনাতো তার ড্রইংরুমে বসে, তারপর চা খেতো,
এখন আর কেউ গান শোনায় না তাই মন অত্যন্ত আকুল।
আজ তার ড্রইংরুমের স্মৃতিগুলোতে ধুলোর প্রলেপ একা অর্ধমৃত অবস্থা বাঁচাবার কেউ নেই।
লড়াই করে বেশ চলছিলো তার জন্ম লগ্ন থেকে,
আমি টিকে আছি তোমার না থাকার দিনগুলো নিয়ে।
অপেক্ষা মেশানো বিষণ্ণ সকাল গুলো জেগে থাকে অকারণে।
তবুও,
তোমার বুড়ো আঙুলের ছাপের গন্ধে মাতাল করে আমার হৃদয়-
অথচ তুমি দিয়েছো বিদায়-
আর কোনদিন তুমি আসবেনা দৃষ্টিতে কথা হবে না ভাবলেই হৃদয় ভেঙে চুরমার;
তুমি বলতে তুমি ছোট তোমার দেরি আছে বিদায় দিতে,
যেখানেই থাকো জানি আমায় ভুলবেন না,
তোমার বিদায়ের আগের দিন ডেকে ছিলে আমি একদম বুঝতে পারিনি চলে যাবে, যে কোন কারণে যেতে পারিনি, তুমি বলেছিলে আমি মরে গেলে এসো তবুও আমার সময় হলো না।
আমি বেঁচে আছি অনেক না বলা কথা কবিতার ভেতরে,যতটা লেখা যায় ততটা আছে লেখা-
তুমি যেখানেই থাকো ভালো থেকো।
Leave a Reply