দলের জেলা রাজ্য নেতৃত্ব মঞ্চ থেকে সভায় কর্মীদের নিয়ে বড়াই করলেও অন্দরের এই সংঘাত যে বিধানসভার প্রাক্কালে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তা বলা বাহুল্য।

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ — বেশ কিছু দিন ধরেই সামনে এসে ছিল দলের অন্দরের কোন্দল।বিধানসভার টিকিট নিয়ে সংঘাত সামনে আসছিল মন্ত্রী এবং দাপুটে জেলা পরিষদ সদস্যের মধ্যে।এবার দলের কিষাণ খেত মজদুর ইউনিয়নের সম্মেলনে দুই জেলা পরিষদ সদস্য, দুই ব্লক সভাপতি এবং দুই শাখা সংগঠনের সভাপতির অনুপস্থিতি নিয়ে অন্তরের কোন্দল আরো প্রকাশ্যে শাসক শিবিরের। দলের জেলা রাজ্য নেতৃত্ব মঞ্চ থেকে সভায় কর্মীদের নিয়ে বড়াই করলেও অন্দরের এই সংঘাত যে বিধানসভার প্রাক্কালে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তা বলা বাহুল্য।শাসকের অন্দরে বিধানসভার টিকিট নিয়ে কার্যত দূরত্ব বাড়ছে জুজুধান দুই পক্ষের। যদিও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ দুই পক্ষই। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। রবিবার বিকেলে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয় ময়দানে ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি উপলক্ষে তৃণমূলের কিষাণ খেত মজদুর ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন ছিল।যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যের চেয়ারপার্সন জয়া দত্ত, জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম ব্যানার্জীর নূর সহ জেলার তৃণমূলের শাখা সংগঠনের সভাপতিগণ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি প্রত্যেকেই।এই সম্মেলনের মূল আহ্বায়ক ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। কিন্তু ভরা এই মঞ্চে দেখা গেল না এলাকার দাপুটে জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানকে। যেখানে সম্প্রতি বারবার সামনে এসে ছিল তাজমুল এবং বুলবুলের সংঘাত। তা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হোক বা দলের সভাতে বুলবুল কে পাশে বসিয়ে নাম না করে তাকেই আক্রমণ মন্ত্রীর। রাজনৈতিক মহলের মতে পঞ্চায়েত এবং লোকসভার খারাপ ফলাফলের কারণে মন্ত্রীর উপর আস্থা হারাচ্ছিল দলের একাংশ। যার কারণে বিধানসভার টিকিট নিয়ে বাড়ছিল দুই পক্ষের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত। আর এদিন বুলবুলের অনুপস্থিতি সেই সংঘাতের জল্পনা আরো উস্কে দিল। তবে শুধু বুলবুলই নয় এদিন মঞ্চে দেখা যায়নি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (এ) ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (বি) ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুনকে।অনুপস্থিত ছিলেন যুবর ব্লক সভাপতি পূজন দাস, শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি সাহেব দাস। যদিও এই অনুপস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী তাজমুলের দাবি তিনি সকলকে ফোন করে আসতে বলেছেন। কেউ ব্যক্তিগত কাজের জন্য নাও আসতে পারে। অন্যদিকে বুলবুলের দাবি তিনি বাইরে ছিলেন বলে আসেন নি। কিন্তু দলকে যেটা জানানোর তিনি জানিয়েছেন।বাইরে থাকার দাবি মর্জিনারও। বিজেপির দাবি এটা কোন নতুন ঘটনা নয়। যে দলে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে খুন করছে। সেই দলে এটাই স্বাভাবিক। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *