“তৃণমূলকে হারানোর ক্ষমতা কারও নেই”, চ্যালেঞ্জ ফিরহাদের কলকাতার আসন নিয়ে।

কলকাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার একাধিক ইস্যুতে মুখ খুললেন—বিজ্ঞাপন নীতি থেকে শুরু করে জল জমা, ভোটার তালিকা থেকে বিরোধীদের অভিযোগ, এমনকি পার্কিং মাফিয়া এবং মারধরের রাজনীতিও ছিল তাঁর বক্তব্যের পরিধিতে।

বিজ্ঞাপন নীতি:

রাজ্য সরকার নতুন বিজ্ঞাপন নীতিতে অনুমোদন দিয়েছে। মুখ্য পয়েন্টগুলি হলো:

মেইন ক্রসিং থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে হোর্ডিং নিষিদ্ধ।

হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে কোনও বিজ্ঞাপন নয়।

ইকো-ফ্রেন্ডলি ব্যানার ও মনোপল হোর্ডিং বাধ্যতামূলক।

কলকাতা মেট্রো-সহ অন্যান্য সংস্থাকে বিজ্ঞাপনের ৫০% অধিকার দেবে পৌরসভা।

ক্লাবের উৎসবের সময় হোর্ডিংয়ে ক্লাবের নাম উল্লেখ বাধ্যতামূলক।

জল জমা ও রাস্তার পরিস্থিতি:

ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতায় পাঁচ ঘণ্টা বাদে কোনও এলাকাতেই জল থাকে না, শুধুমাত্র কিছু এডেড এরিয়া বাদে।

“১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, অথচ পাতিপুকুর আন্ডারপাসেও জল দাঁড়ায়নি,”—উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, পোর্ট ট্রাস্টের আওতায় থাকা এলাকা, যেমন গড়াগাছা ও তারাতলা অঞ্চলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, এজন্য পোর্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে বলেও জানান তিনি।

ভোটার তালিকায় নাম বাদ দেওয়া নিয়ে তোপ:

ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে ফিরহাদ বলেন,

“মহারাষ্ট্র-দিল্লির মতো বাংলাতেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন জেতার চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে আমরা জেনুইন ভোটারের পাশে আছি।”
তিনি বলেন, মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে যাতে কোনও সাধারণ মানুষ অন্যায়ভাবে বাদ না পড়েন।

বিজেপির বিরুদ্ধে কটাক্ষ ও আত্মবিশ্বাস:

“তৃণমূলকে হারানোর ক্ষমতা কারো নেই। আমি কলকাতার যেকোনো আসন থেকে দাঁড়াতে পারি।”
তিনি জানান,
“বিজেপি পঁচিশটা সিটও পাবে না। কলকাতায় মানুষের সঙ্গে আছি, ভয় নেই।”

পার্কিং ও অ্যাপ:

“বোর্ড লাগান, অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। পার্কিং মাফিয়া, অ্যাডভার্টাইজিং মাফিয়াদের ঠাঁই নেই কলকাতায়,”—বলেছেন তিনি। অতিরিক্ত কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ, পলি ও সরোবর:

রবীন্দ্র সরোবরে পলি জমা নিয়ে তিনি জানান,

“ড্রেজিং করলে পরিবেশে ক্ষতি হবে কিনা, বিশেষজ্ঞদের মত নিতে হবে।”

মারধরের রাজনীতি নিয়ে কটাক্ষ:

“বাংলায় এসব হয় না। গুজরাট প্যাটার্ন চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আমি বলি, মেরেছো কলসির খানা, তাই বলে কি প্রেম দেবে না?”

বাংলাতেই উত্তর:

“আমি তো ইংরেজি বেশি জানি না, বাংলাতেই উত্তর দিলাম। বাংলাতেই হলে তো ভালই হয়।” — ভাষার প্রশ্নে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *