ঘর, রক্ত ও টোটো ভাড়া—আদিত্যর পাশে প্রশাসন ও সংগঠন, জেগে উঠছে আশার আলো।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বটুন পঞ্চায়েতের সফরপুর কোলপাড়া গ্রামের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত আদিত্য কোলের জীবন সংগ্রামের কাহিনীর খবরের জেরে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও দায়িত্ব নিল আদিত্যর রক্ত ও খাবারের।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত আদিত্য কোলের মা ও বাবা প্রায় তিন বছর আগে ভিন রাজ্যে কাজ করতে চলে যান। আট বছরের বোনকে নিয়ে থাকে আদিত্য। রান্না করে দুইজন মিলে। আদিত্যর প্রতি মাসেই রক্তের প্রয়োজন পড়ে। জ্বর আসলেই বুঝতে পারে তার রক্তের প্রয়োজন, তখন একাই চলে যায় বালুরঘাট হাসপাতালে আদিত্য।রক্তের জন্য সবার কাছে রক্ত চাইতে থাকে আদিত্য। বাড়িতে বিদ্যুত ছিল, কয়েকমাস আগে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যে নামলেই বর্তমানে ঘর বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে। পাঁচ বছর আগে ইন্দিরা আবাসের ঘর পেয়েছিল পরিবার, তবে তা আজও অসম্পূর্ণ।

পরদিনই আদিত্যর বাড়িতে ঘুরে যান কুমারগঞ্জ ব্লকের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধিদল। কিছু শুকনো খাবার, চাল ও ত্রিপল দিয়ে যান। বিদ্যুত দফতরের প্রতিনিধি যোগাযোগ করলেও বিদ্যুত পরিষেবা এখনও ঘরে আসে নি আদিত্যর। বিদ্যুত দফতরের কর্মীর বলেছেন ১৬০০ টাকা লাগবে। কিন্তু কুমারগঞ্জ বিদ্যত দফতরের এসএম নাজমুল হক মোবাইলে জানিয়েছেন এক টাকাও লাগবে না তারা বিনে পয়সায় করে দেবেন। গতকাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন প্রতিনিধি ঘুরে গিয়েছেন। তার একটা স্কলারশিপের ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পথের দিশা সংস্থার প্রতিনিধিরা কিছু খাবার দিয়ে গিয়েছেন। ফিবডো রক্তদান কারী সংস্থা ও পথের দিশা সংস্থা তার প্রতি মাসের রক্তের দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে আজ বিজয় কুমার সাহা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর প্রতিনিধি মিন্টু সাহা ও স্বপ্না সাহা নিলেন দুই ভাইবোনের সমস্ত দায়িত্ব। দিলেন ঘর তৈরি প্রতিশ্রুতিও। আজ ফিবডোর সম্পাদক অরিন্দম ঘোষ এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কৌশিক চৌধুরিও ঘুরে গেলেন। শৌচালয় তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন কৌশিক, প্রতি মাসে ব্লাড ব্যাঙ্কে যাওয়ার টোটোর দায়িত্ব নিলেন অরিন্দম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *