মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ :৩০ জুলাই: বিয়ে ছিল ২৫ জুলাই।তার আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল পাত্র। অবশেষে নিখোঁজের ৫ দিন পর সেই পাত্রের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করলো পুলিশ।বুধবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল থানার ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোরখপুর এলাকায়।বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি বাঁশবাগান লাগায়ো জঙ্গলের মধ্যেই ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।মৃতদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে তদন্তকারী পুলিশকর্তারা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃতের নাম নাহারুল আলি (২৮)। তিনি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক।তাঁর বাড়ি চাঁচলের গোরখপুর এলাকায়। গত ২৫ জুলাই ওই যুবকের বিয়ে ঠিক হয় চাঁচলেরই মোবারকপুর গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে। বিয়ের আয়োজন সব সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই যুবক। ওইদিন রাতেই বাড়ির লোকেরা চাঁচল থানায় নাহারুল নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে গোরখপুর এলাকার বাঁশ বাগানের লাগোয়া জঙ্গলে কয়েকজন বালক শৌচাক্রিয়া করতে গিয়েই যায়। তখন তাদের নাকেই প্রথমে দুর্গন্ধ ভেসে আসে। এরপর তাকঝাক করতেই ওই যুবকের পচাগলা এবং গলাকাটা অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে , অত্যন্ত নৃশংসভাবে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। গলা কাটার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। মৃতদেহর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বেশ কিছুদিন আগেই ওই যুবককে দুষ্কৃতীরা খুন করে থাকতে পারে।
এদিকে মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাদের বাড়ির ছেলেকে দুষ্কৃতী দিয়েই খুন করিয়ে থাকতে পারে কোনও এক মহিলা।
মৃতের এক আত্মীয় আতাউর রহমান বলেন, নিখোঁজের সময় ওই যুবক তার মোবাইলটা সঙ্গে নিয়ে যায় নি। ফলে সেটির অনেক কেরামতি করে মেকানিকে দিয়ে মোবাইলের লক খোলানো হয়েছিল। তারপরে দেখা যায় এক বিবাহিত মহিলার ছবি এবং তার একশোর ওপরে একদিনে ফোনকল রয়েছে। একটি কল রেকর্ডে সোনা গিয়েছে নাহারুলকে ওই মহিলা বারবার ডাকছে। এরপরই গত ২৫ জুলাই দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই যুবক। মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার জন্য ওই যুবকের পরিবারকে জরিমানাও পর্যন্ত দিতে হয়েছে। আমাদের ধারণা বিবাহিত সম্পর্কের জেরে ওই মহিলায় দুষ্কৃতীদের দিয়ে খুন করিয়েছে।
এদিকে এদিনের এই খুনের ঘটনায় তদন্তে যায় চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। চাঁচলের এসডিপিও সোমনাথ সাহা জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট নাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাঁশবাগানে রক্তাক্ত দেহ, গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার এক ব্যক্তির মৃতদেহ।

Leave a Reply