নয়াদিল্লি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপের একদিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন—ভারত তার কৃষক, পশুপালক এবং জেলেদের স্বার্থে কোনও রকম আপস করবে না।
মোদি বলেন,
“আমাদের কৃষক ও গ্রামীণ সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। আন্তর্জাতিক চাপ আসতে পারে, কিন্তু আমি দেশের মানুষের জন্য সেই চাপ সামলাতে প্রস্তুত।”
🔹 বাণিজ্য যুদ্ধের সূত্রপাত
রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল আমদানি করায় যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট। আমেরিকা দাবি করছে, ভারতের এই পদক্ষেপ মার্কিন অর্থনীতির জন্য ‘হুমকি’। এরই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প সরকার ভারতীয় পণ্যের উপর প্রথমে ২৫ শতাংশ, পরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে, যা কার্যত একটি শুল্কযুদ্ধের সূচনা।
🔹 ভারতের জবাব
ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে,
“রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি আমাদের বিশাল কৃষি-শিল্প অর্থনীতির চাহিদা মেটাতে অত্যাবশ্যক। এই পদক্ষেপ দেশের খাদ্য সুরক্ষার জন্য জরুরি।”
এই প্রেক্ষাপটে মোদির বক্তব্য শুধু একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং জাতীয় অর্থনৈতিক কৌশলের প্রতিফলন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
🔹 কী বলছে ভারত?
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে—
“আমেরিকার শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত অন্যায্য এবং অযৌক্তিক। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি।”
🔹 বিশ্লেষকদের মত
বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, এই উত্তেজনা বিশ্ববাজারে তেলের দামে ওঠানামা এবং ভারত-মার্কিন কূটনীতির উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।
📌 মূল পয়েন্ট (সংক্ষেপে):
- ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ভারতীয় পণ্যে ৫০% পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি
- মোদির পাল্টা বার্তা: কৃষকদের স্বার্থে আপস নয়
- রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে ভারতের দৃঢ় অবস্থান
- ভারতের পক্ষ থেকে আমেরিকার শুল্ককে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ বলে নিন্দা
Leave a Reply