মুর্শিদাবাদ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বড়ঞা দফাদার পাড়ায় অবস্থিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বর্তমানে একাধিক গুরুতর অভিযোগের মুখে পড়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন, কেন্দ্রে শিশুদের নিয়মিত খাবার দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর অনুপস্থিতি, তার স্বামীর অযাচিত হস্তক্ষেপ, এবং অপরিষ্কার পরিবেশ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
গ্রামের বাসিন্দা মুর্শিদা বিবি অভিযোগ করে বলেন, “আমার কার্ড থাকা সত্ত্বেও আমাকে খাবার দেওয়া হয় না।” একই ধরনের অভিযোগ করেছেন রাজকুমার দফাদার। তার দাবি, তার বাচ্চার কেওয়াইসি (KYC) করা সত্ত্বেও তাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মী নাসিমা খাতুন প্রায়শই অনুপস্থিত থাকেন। তার বদলে তার স্বামী কেন্দ্রে এসে মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং ঝগড়া করেন বলে অভিযোগ করেছেন জেসমিনা দফাদার নামে আরেক গ্রামবাসী।
খাবার বিতরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তারা নাসিমা খাতুনের কাছে উপস্থিতির খাতা (পেজেন্ট খাতা) দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অস্বীকার করেন। এতে গ্রামবাসীদের সন্দেহ আরও বেড়েছে।
এদিকে, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে এক হাঁটু জল জমে থাকার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বাচ্চাদের মায়েরা খাবার আনতে গেলে তাদের জল ভেঙে পার হতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, কেন্দ্রে কোনো নিকাশি ব্যবস্থা নেই, যার ফলে বর্ষার সময় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
যদিও এই অভিযোগগুলির বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। কেন্দ্রের রান্নার দায়িত্বে থাকা প্রিয়াঙ্কা দেবী জানান, “আমাকে যেমন চাল, ডাল দেওয়া হয়, আমি তেমন ভাবেই রান্না করি।” অন্যদিকে, নাসিমা খাতুন বলেন, “অনেকের আধার লিংক নেই, তারাও খাবারের জন্য আসেন। তাদের আধার লিংক ঠিক করার কথা বলা হয়েছে।”
সব মিলিয়ে, স্থানীয় প্রশাসন এই সমস্যার সমাধানে কী পদক্ষেপ নেয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়। গ্রামবাসীরা চাইছেন, দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিষেবা স্বাভাবিক হোক এবং তাদের শিশুদের প্রাপ্য খাবার নিয়মিতভাবে দেওয়া হোক প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ চেয়েছেন গ্রামবাসীরা।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর অনুপস্থিতি ও স্বামীর দুর্ব্যবহার – গ্রামবাসীদের বিস্ফোরক অভিযোগ।

Leave a Reply