পতিরাম, দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :-
প্রথমবারের মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উদ্যোগে ভব্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো বিজয়াদশমী। ২রা অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিএসএফ-এর ১২৩ ব্যাটালিয়ন তাদের পতিরাম ক্যাম্পে আয়োজন করে এক ঐতিহাসিক উৎসব, যেখানে অশুভের ওপর শুভের জয়ের প্রতীক হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল রাবণ দহন।
৫০ ফুট উঁচু রাবণের পাশাপাশি কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদের কুশপুতুলও দহন করা হয়। এর আগে বাহিনীর সদস্য ও শিশুদের অংশগ্রহণে মঞ্চস্থ হয় রাবণ বধের নাটক ও রামলীলার চিত্তাকর্ষক প্রদর্শনী, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। আয়োজন ঘিরে ক্যাম্পের পরিবেশ রূপ নেয় উৎসবমুখর আবহে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সদর দফতরের উপ-মহানিরীক্ষক (ডিআইজি) মোহিন্দর সিং। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সদর দফতরের কমান্ড্যান্ট রানবীর সিং ডোগরা, ১২৩ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট গুরিন্দর সিং, ২৯ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট রাহুল সিং এবং ৭৯ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট কংইয়ানবা থিংবাইজম।
ডিআইজি মোহিন্দর সিং তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বিএসএফ-এর কর্মীরাই আজকের রাম। সীমান্তে যারা বেআইনি কার্যকলাপ চালায়, তারাই আধুনিক রাবণ। এই রাবণ বধ করাই বিএসএফ রামদের প্রকৃত কর্তব্য।” তাঁর কথায় প্রতিফলিত হয় উৎসবের মূল তাৎপর্য এবং সীমান্ত সুরক্ষায় বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকা।
অনুষ্ঠানে ১২৩ ও ৭৯ ব্যাটালিয়নের আধিকারিক, অধীনস্ত আধিকারিক, কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে অংশ নেন। স্থানীয় দমকল বাহিনীর কর্মীরাও ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে উৎসবটি রূপ নেয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলায়।
এই প্রথমবারের বিজয়াদশমী উৎসব শুধু বাহিনীর প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং স্থানীয় মানুষের মনেও ছাপ রেখে গেল। দেশরক্ষার দায়িত্বের পাশাপাশি সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করল বিএসএফ।












Leave a Reply