বীরভূম, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বীরভূম জেলা অতীত রাজধানী ও ঐতিহাসিক কেন্দ্র রাজনগরকে একটি পর্যটন কেন্দ্র রূপে গড়ে তোলা খুবই জরুরি৷ আগেও এই দাবি তুলে ধরা হয়েছে৷ পুনরায় একই দাবি জানাচ্ছেন রাজনগর রাজ পরিবারের সদস্য থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ও ইতিহাসপ্রেমী মানুষজনেরা৷ এই রাজনগর এলাকায় প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির যথাযথ সংস্কারের দাবিও জানাচ্ছেন রাজবংশের প্রতিনিধি ও বাসিন্দারা৷ পর্যটন কেন্দ্র রুপে এটিকে গড়ে তোলা হলে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা৷ লেখক, গবেষক তথা ঐতিহাসিকদের বিবরণ থেকে জানা যায়, সুদূর অতীতে বীরভূমের রাজধানী ছিল রাজনগর৷ সেই সময় বর্তমানের বীরভূম সহ বিহার, সাঁওতাল পরগণা, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের কিছুটা অংশ রাজনগর রাজ স্টেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল৷ এখানে উড়িষ্যার রাজা নরসিংহ দেব, লক্ষণ সেনদের বংশের সেন রাজারা, বীররাজা ওরফে রাজা বীরচন্দ্র ও পরবর্তীতে সুদূর আফগানিস্তান থেকে আসা পাঠান রাজারা রাজত্ব করেন৷ পাঠান রাজ বংশের উত্তরসুরীরা আজও এখানে বসবাস করেন৷ রাজনগর রাজবাড়ি, ইমামবাড়া, হামাম, টেরাকোটার বীরভূমের রাজনগর – কারুকার্য মন্ডিত মতিচূড়া মসজিদ, ঐতিহাসিক কালীদহ পুকুর, পুকুরের মাঝে হাওয়াখানা বা হাওয়ামহল, সাঁওতাল বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক গাবগাছ, ফাঁসিঘর প্রভৃতি দেখতে আজও দেশ বিদেশের বহু পর্যটক ও ইতিহাসপ্রেমী মানুষজন প্রায়শ আসেন৷ ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির কয়েকটি সামান্য কিছু সংস্কার হলেও তা যথাযথ নয় বলে অভিযোগ৷ বাকিগুলিরও সংস্কার জরুরি৷ সেই দাবিতে সোচ্চার রাজ পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বাসিন্দা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যপ্রেমীরা৷ মাঝে মধ্যে দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা কেউ কেউ বলেন, “রাজনগর পর্যটন কেন্দ্র হলে সারা বছরই পর্যটকরা এখানে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবেন৷ তার আগে ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির যথাযথ সংস্কার ও সেগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে সরকারী প্রচেষ্টায়৷ একই সাথে পর্যটকদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা ও পরিষেবা প্রদানের বিষয়টিও সুনিশ্চিত করা দরকার৷”
রাজনগরের ঐতিহ্য ফিরে দেখছে বীরভূম — সংস্কার না হলে হারিয়ে যাবে প্রাচীন রাজ্য রাজধানীর গৌরব।












Leave a Reply