শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে মৃত্যুর কোলে জামাই, মারধরের অভিযোগ তুলল মৃতের পরিবার।

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ — চাঞ্চল্যকর ঘটনা। শ্বশুরবাড়ি ঘুরতে আসা জামাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হল শ্বশুরবাড়ির পাশে। ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা আত্মহত্যার দাবী করলেও, সেই দাবী মানতে নারাজ মৃতের পরিবারবর্গ। তাদের অভিযোগ তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা মিলেই মারধর করে হত্যা করেছে। সোমবার সাত সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক সোরগোল পড়ল মালদার মানিকচক থানার এনায়েতপুর অঞ্চলের নওয়াদা এলাকায়। জানা গেছে, মৃতের নাম অমিত চৌধুরী। বয়স ৩২ বছর। বাড়ি মালদার ইংরেজবাজার থানার কাগমারি এলাকায়। বছর তিনেক আগে তার বিয়ে হয় মানিকচকের এনায়েতপুর অঞ্চলের নওয়াদা এলাকার বাসীন্দা ফেকু চৌধুরীর মেয়ে শ্যামলী চৌধুরীর সঙ্গে। বর্তমানে তাদের এক বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। জানা গেছে, গত দুদিন আগে অমিত তার স্ত্রী শ্যামলী চৌধুরিকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি মনসা গান শুনতে যান। রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে গান শোনেন। এরপর সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির ঠিক পাশেই অমিতের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে একটি গাছে দড়ি ঝুলতে দেখা যায় এবং মৃতদেহ নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। স্বভাবতই এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ঘটনায় মৃতের পরিবারবর্গ দাবী করেন, অমিত আত্মহত্যা করেনি। তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা মিলে মারধর করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই হত্যার ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরাই জড়িত রয়েছে। যদিও মৃতের স্ত্রী শ্যামলী চৌধুরী দাবী করেন, তার বাবার বাড়িতে কোন গন্ডগোল, ঝামেলা হয়নি। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে রাতে গান শুনেছেন। এরপর রাত এগারোটা নাগাদ তিনি বাড়ি চলে আসেন। স্বামী কিছুক্ষণ পরে আসছে বলে বাইরে যায়। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। তাই কীভাবে কী হল কিছুই বুঝতে পারছেন না। তার বাপের বাড়ির লোকজনেদের বিরুদ্ধে হত্যার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে মানিকচক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *