‘কালিঘাটে টাকা পৌঁছাত না’— তমলুক ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- মেয়াদ পূরণের আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এই নিয়ে তমলুক পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ন রায়কে ইতিমধ্যেই মৌখিক ভাবে অবগত করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজিত রায়।প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন পূর্বেই তমলুক সংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল দীপেন্দ্র নারায়ন রায়কে।শুক্রবার দুপুর নাগাদ লিখিত নির্দেশ চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেবেন জেলা সভাপতি সূত্রের খবর।শুক্রবার পদত্যাগ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন দিপেন্দ্র নারায়ন রায়। দীপেন্দ্র নারায়ন রায় বলেন তিনি দীর্ঘদিন স্বচ্ছতার সাথে কাজ করেছেন।প্রায় ৬ কোটি টাকার কাজ তিনি করেছেন।দল আরো যোগ্য ব্যক্তি পেয়েছে তাই তাকে সরানো হলো।তবে তিনি নিজেকে অনেকের থেকে যোগ্য বলেও দাবি করেছেন।আমি অন্যদের মত নয় চেয়ার আঁকড়ে পড়ে থাকবো।তাই লিখিত নির্দেশের আগেই পদ ছাড়ার জন্যে তৈরি হয়ে গেলাম এমনটাই দাবি দ্বীপেন্দ্র নারায়ন রায়ের।তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি আরো আশ্চর্জনক।জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছায়িত বলেন দিপেন্দ্র নারায়ণ রায় কালীঘাটে টাকা পৌঁছতে পারছিলেন না। তার রাজনৈতিক জীবন অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন না, তাই জন্যই তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হলো।তবে তমলুকের তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশর ও একই মত। তারাও দাবি করেছেন দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় স্বচ্ছতার সাথে কাজ করেছেন। তবে যে দুজনের নাম উঠে আসছে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে তারা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। তমলুকের মানুষ তাদের ভালো চোখে নিচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *