হিলি-বালুরঘাট জুড়ে তৃণমূলের এসআইআর শিবির ঘুরে দেখলেন প্রসূন, কর্মীদের দিলেন সহায়তার নির্দেশ।

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা :- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলার এসআইআর ভোট রক্ষা শিবির খোলা হয়েছে সকল জেলাগুলিতেই। সেই শিবিরে তৃণমূলের নেতৃত্ব থেকে কর্মী সকলেই ভোটারদের নথি যাচাই করে ফর্ম পূরণে সহায়তা করছে। এই সকল কাজ খতিয়ে দেখতে প্রতিটি জেলার জন্যই ওয়ার রুমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট নেতৃত্বদের। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার দায়িত্ব পেয়ে এসআইআর ভোট রক্ষা শিবির ও ওয়ার রুম পরিদর্শনে আসেন প্রসূন ব্যানার্জি। জেলার প্রতিটি ব্লকের শিবির ঘুরে দেখছেন তিনি।

গতকাল কুশমন্ডি ব্লকের শিবির ঘুরে দেখার পর বৃহস্পতিবার সকালে হিলি ব্লকে বিডিও অফিসের সামনে শিবির পরিদর্শন করেন প্রসূনবাবু। বিকালে বালুরঘাট শহরের কলেজ মোড় এলাকায় এসআইআর ভোট রক্ষা শিবিরে আসেন তিনি। সাধারণ মানুষের এসআইআর আতঙ্ক দূর করতে মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করার উপদেশ দেন কর্মীদের। প্রসূন ব্যানার্জি ছাড়াও এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, বালুরঘাট পৌরসভার পৌরপ্রধান অশোক মিত্র, জেলার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী স্নেহলতা হেমরম।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রসুন ব্যানার্জি জানান, আমরা জেলার প্রতিটি ব্লকে ব্লকেই ভোট রক্ষা শিবিরে যাচ্ছি কর্মীদের এবং মানুষদের এসআইআর আতঙ্ক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা ওয়ার রুমে বসছি বিভিন্ন পর্যালোচনা করেছি এবং করছি। নির্বাচন কমিশন মানুষের উপরে একটা সাইলেন্ট রিগিং চাপিয়ে দিয়েছে। মানুষের পাশে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে। বুথ লেভেল থেকে সর্বত্রই আমাদের কর্মীরা তাদের সহায়তা করছে।
তিনি আরো বলেন, ইলেকশন কমিশন তো কোন চায়ের দোকান নয়। পশ্চিম বাংলার মানুষ জানে যে এসআইএ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে পশ্চিম বাংলা। এখন যে সমস্ত মানুষ মাঠে কাজ করে খান, দৈনন্দিন লড়াই করে যারা জীবন যাপন করেন তাদের পক্ষে এইমাত্র এক মাসের উইন্ডোর মধ্যে SIR ফর্ম ফিলাপ করা সমস্যার বিষয়। অনেকে বাইরে আছেন কারণ বাড়িতে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। এখানে কিন্তু একটা মেন্টাল স্ট্রেস তৈরি করছে এর জন্য দায়ী ইলেকশন কমিশন। ইলেকশন কমিশনের 2023 থেকে 2024 পর্যন্ত করার সময় ছিল। তখন যদি ইলেকশন কমিশন মনে করতেন কোন প্রসেস চালু করবেন সেটা করতেই পারতেন। কিন্তু তা না করে ভোটের আগে এক মাসের একটা উইন্ডো খুলে দিয়েছে।

ইলেকশন কমিশনের নিজস্ব আইন অনুযায়ী 2004 সালে মহারাষ্ট্র ও অরুণাচল প্রদেশে এসআইআর রদ করা হয়েছিল এই যুক্তিতে যে বছরে যে রাজ্যে ভোট হয় সেখানে এসআইআর হয় না। ইলেকশন কমিশন তো কোন চায়ের দোকান নয়। তাহলে 2025 সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে জুন মাসে কি এমন হলো যে ইলেকশন কমিশন নিজেদের ফরমুলেটেড পলিসি থেকে সরে গিয়ে সেখানে এসআইআর ডিক্লেয়ার করলো? আসলে লক্ষ্য টা ছিল বাংলায় এস আই আর করবে তার আগে বিহারে একটা নেট প্র্যাকটিস ছিল। মানুষের উপরে একটা মানসিক অমানবিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *