দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পাগলিগঞ্জ আটইর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ড্রেস বিতরণকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্কে চারদিন পরেও উত্তেজনা কমেনি। সোমবার দ্বিতীয় দফার ড্রেস নিয়ে গেলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ব্রতীন কুমার রায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উপস্থিতিতে ড্রেসের মান নিয়ে আপত্তি জানান। তাঁর বক্তব্য—সরকারি নির্দেশিত ড্রেসের গুণগত মান সন্তোষজনক নয়। এই মন্তব্য থেকেই তীব্র বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত। শিক্ষক অভিযোগ করেন, সংঘের এক সদস্য তাঁকে মারতে উদ্যত হন। বিপরীতে মহিলা সংঘের দাবি, শিক্ষক সেদিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন এবং তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। এমনকি ড্রেসে রাজ্য সরকারের লোগো নিয়ে আপত্তি তোলেন বলেও অভিযোগ।
পরদিন মহিলা সংঘের পক্ষ থেকে ব্রতীনবাবুর বিরুদ্ধে পতিরাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু তিনদিন পেরিয়েও প্রশাসনিক কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় আজ প্রায় তিন শতাধিক মহিলা পতিরাম পথসাথী প্রাঙ্গণ থেকে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ বিক্ষোভ মিছিল করে বালুরঘাট পূর্ব চক্রের অফিসে পৌঁছান। স্লোগানে উত্তাল মহিলাদের একটাই দাবি—ব্রতীন রায়ের পদত্যাগ এবং তাঁর বিরুদ্ধে কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা। সংঘের প্রধান লাইলা আর্জু অভিযোগ করেন, “ড্রেসের কাপড়, কাটিং সব উপর থেকে আসে। আমরা শুধু সেলাই করি। লোগো নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক, আর শিক্ষক আমাদের অপমান করেছেন।”
বালুরঘাট পূর্ব চক্রের এসআই মৃন্ময় সরকার ফোনে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে দপ্তরে পাঠানো হবে। অন্যদিকে ব্রতীন রায় বলেন, তিনি ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন।
মহিলা সংঘের সুদীপ্তা চক্রবর্তী, পূর্ণিমা মণ্ডল, রিংকি সাহা, মৌসুমি সরকারসহ অন্যরা হুঁশিয়ারি দেন—“শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাঁচ হাজার মহিলা নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”
এলাকায় তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হলেও পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত, এবং আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ নিয়ে চাপে রয়েছে শিক্ষা দপ্তর।












Leave a Reply