শিশুর বয়স ছ’ বছর, তবু সার্টিফিকেট নেই—এসআইআর নিয়ে মানুষের দৌড় মালদা মেডিকেলে।

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতা:— হঠাৎ জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি ও সংশোধন করার ভিড় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এসআইআর আতঙ্কে মানুষ সকাল থেকে লম্বা লাইন দিচ্ছে শিশুদের জন্ম সার্টিফিকেট তৈরির জন্য। লাইনে থাকা অধিকাংশদের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কারো শিশুর বয়স দুই বছর আবার কারো ছয় বছর কিন্তু জন্ম সার্টিফিকেট এখনো তৈরি হয়নি। বর্তমানে এসআইআর নিয়ে নানান গুজব ছড়াচ্ছে। তাই মানুষ শিশুদের জন্ম সার্টিফিকেট ও তৈরি করতে তোর জোর শুরু করেছে।
এতদিন সন্তানদের জন্ম সার্টিফিকেট তৈরির তোড়জোড় তেমন ছিলনা অনেকের মধ্যেই। হঠাৎ করে এখন আবেদনের হিড়িক পড়ছে। শুধুমাত্র জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি হয়। সংশোধন থেকে ডিজিটাল করার প্রবণতা বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সিএএ ও এসআইআর আতঙ্কেই এখন তোড়জোড় দাবি আবেদনকারী অনেকের। ছয় বছর আগে মেয়ের জন্ম সার্টিফিকেট বার করেছিলেন সাদিকুল।‌ কিন্তু এখন সেটির ডিজিটাল করার জন্য বলেছে পঞ্চায়েত সদস্য এমনটাই দাবি সাদিকুলের। তাই তিনি এদিন মালদা মেডিকেল কলেজে আসেন আবেদন করতে। সাদিকুল বলেন, ছয় বছর আগে তৈরি করেছিলাম মেয়ের সার্টিফিকেট। এখন নাকি এটা অনলাইন করতে হবে। পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান বলেছেন ঠিক করতে। তাই এসেছি। এসআইআর হচ্ছে এখন।এই আতঙ্কেই এখন করছি।
শুধুমাত্র মালদা মেডিকেল কলেজে নয়, জেলার পঞ্চায়েত অফিস গুলিতেও ভিড় বাড়ছে জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি ও সংশোধনের। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিতে নাম পদবী ঠিক করা। নামের বানান ভুল থেকে ঠিক করার ভিড় বাড়ছে।
মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভিড় বাড়ছে। জন্ম সার্টিফিকেট প্রদান বিভাগে লম্বা লাইন পড়ছে সকাল থেকেই। অনেকেই দ্রুত কাজ করতে অফিস খোলার আগে থেকেই
লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। যদিও মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়মিত মানুষ এখানে আছেন জন্মের সার্টিফিকেট তৈরির জন্য। পাশাপাশি সংশোধন অন্যান্য কাজের জন্য নিয়মিতই মানুষ এখানে আসছে না। এই সময় যে বেশি হচ্ছে এমন কোন ব্যাপার নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *