মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতা :- মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মোবারকপুর কালিতলার কনটেন্ট ক্রিয়েটর দুর্লভ সাহার রহস্য মৃত্যু নিয়ে একের পর এক ধোঁয়াশা। প্রথমে তার আত্মহত্যার জন্য পার্শ্ববর্তী এলাকার আরেক জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমা সরকার কে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে ছিলেন তার স্ত্রী মৌসুমী সাহা।এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন সালমা। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তার স্ত্রী কেই দায়ী করলেন তিনি। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য টাকার চাপ দিত স্ত্রী। তাই মৌসুমীর পাশে নেই দুর্লভের পরিবারও। এখন নিজের দায় এড়ানোর জন্য সালমা কে কালিমালিপ্ত করছে মৌসুমী। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ ওই জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরের। যে অভিযোগ সামনে আসতে ফের নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও প্রকৃত মৃত্যুর কারণ কি? তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত চলতি মাসের ৬ তারিখ ফেসবুকে লাইভ করে আত্মঘাতী হন মোবারকপুর কালিতলার কনটেন্ট ক্রিয়েটর যুবক দুর্লভ সাহা। পেশায় তিনি সেলসম্যান হলেও সামাজিক মাধ্যমে কমেডি ভিডিও বানিয়ে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। গত এক বছর ধরে চলছিল তাদের দাম্পত্য কলহ। স্ত্রী মৌসুমী দুই মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র বাড়ি ভাড়া থাকতেন।সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করে তার আত্মঘাতী হওয়ার এই ঘটনা সকলকে তাজ্জব করে দেয়। সামনে আসে তার দাম্পত্য বিবাদের কারণ। আবার অনেকে মনে করে হয়তো প্রাঙ্ক ভিডিও বানাতে গিয়ে এই বিপত্তি।
পরবর্তীতে তার স্ত্রী মৌসুমী হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন সালমা সরকারের সঙ্গে দুর্লভ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ছিলেন। যে কারণে তাদের বিবাদ হয়ে ছিল।কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক ঠিক হয়ে ছিল।যেটা সালমা মেনে নিতে পারেনি। তাই ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা চাইছিল।সেই চাপেই আত্মঘাতী হয়েছে দুর্লভ। কিন্তু এই অভিযোগ নস্যাৎ করে পাল্টা সালমা সরকারের দাবি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে দুর্লভের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। কোন ঘনিষ্ঠতা ছিল না। তাই হুমকি দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। কিন্তু তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি করত। ১৫ লক্ষ টাকা তার স্ত্রী দাবি করে ছিল। মৌসুমির পাশে তাই দুর্লভের পরিবারও নেই। অযথা তাকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। আবার এই অভিযোগ নিয়ে টাকা চাওয়ার কথা মৌসুমী স্বীকার করলেও তিনি জানান,’ বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে ছিলাম সালমার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে।দুই মেয়ে রয়েছে তাই টাকার দাবি করে ছিলাম। থানাতেই ঠিক হয়ে ছিল দুর্লভ ১০ লক্ষ টাকা দেবে। পরবর্তীতে সে তার ভুল বুঝতে পেরে সম্পর্ক ভালো রেখে ছিল। সেটা সালমা মানতে পারেনি।’ যদিও স্ত্রী এবং বান্ধবীর পরস্পরকে এই দোষারোপের ঘটনায় প্রকৃত কারণ কি তা এখনো ধোঁয়াশা। তবে যে যুবক ভিডিও বানিয়ে সকলকে হাসাতো। মৃত্যুর একদিন আগেও ফেসবুকে কমেডি ভিডিও বানিয়ে ছিল। ঠিক কি এমন কারনে এই চরম সিদ্ধান্ত নিল সে। সেই উত্তর খুঁজছে সকলেই।












Leave a Reply