মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতা:– বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে শংসাপত্র নিয়ে হয়রানির অভিযোগ।অনলাইনে আবেদনের তিনদিন পরও মিলছে না শংসাপত্র। বাধ্য হয়ে এদিন পঞ্চায়েতে হাজির হয়ে প্রধান ও সেক্রেটারিকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ ছাত্রছাত্রীদের।ছাত্র-ছাত্রীদের কারো কন্যাশ্রীর ফর্ম পূরণ বাকি তো কারো আবার স্কলারশিপের ফর্ম পূরণ বাকি। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের তরফে সেই শংসাপত্র গুলি ছাড়াই হচ্ছে না আর এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ছাত্রছাত্রীরা। স্কুল পড়ুয়া থেকে কলেজ পড়ুয়া মালদহের মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এভাবে হয়রানীর সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। দ্রুত অবিবাহিত সার্টিফিকেট ইনকাম সার্টিফিকেট না ছাড়া হলে ফরম পূরণ করতে পারবেন না সমস্যায় পড়তে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের এমনই অভিযোগ। বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা পঞ্চায়েত ভবনে গিয়ে জড়ো হয় এবং সচিব সহ মথুরাপুর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।
মলদহের মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত বিজেপি পরিচালিত মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। মথুরাপুর এলাকার স্কুলছাত্রী থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়াড়া শুক্রবার পঞ্চায়েত ভবনে জড়ো হয়। তাদের অভিযোগ, ছাত্রীদের কন্যাশ্রীর ফরম পূরণের জন্য অবিবাহিত শংসাপত্র প্রয়োজন পঞ্চায়েতের। অন্যদিকে ছাত্রদের অভিযোগ স্কলারশিপের ফরম পূরণের জন্য পরিবারের ইনকাম সার্টিফিকেট প্রয়োজন। দিন কয়েক আগেই তারা অনলাইনের মাধ্যমে যেভাবে আবেদন করা দরকার সমস্তটাই করেছেন। কিন্তু তাদের সেই আবেদন মঞ্জুর দিয়ে শংসাপত্র দেওয়ায় হচ্ছে না। দিনের পর দিন পঞ্চায়েত ভবনে এসে হয়রানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের বলে অভিযোগ। কখনো পঞ্চায়েতের সচিব অনুপস্থিত থাকছে তো আবার কখনো ছাত্র-ছাত্রীদের কর্কশ ভাষায় দূর দূর করে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমত অবস্থায় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের এমন হয়রানির জেরে তারা যদি প্রয়োজনীয় ফরম পূরণ করতে না পারে তাহলে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে এমনই অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। দ্রুত যাতে তাদের ফর্ম পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট ছাড়া হয় সেই দাবি তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের এমন অভিযোগ কে কেন্দ্র করে মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব সুদীপ্ত দাস কোন কিছুই বলতে নারাজ। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌসুমী মন্ডল জানিয়েছেন, শংসাপত্র পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হচ্ছে। আবেদনের পর পঞ্চায়েতের তরফে সেগুলি ছাড়া হয়। পঞ্চায়েতের যিনি সচিব তিনি গতকাল ছুটিতে ছিলেন আজ ট্রেনিংয়ে ছিলেন তার জন্যই এই সার্টিফিকেটগুলি ছাড়া সম্ভব হয়নি। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা কথা মাথায় রেখে তিনি ট্রেনিং ছেড়ে এসে সেই সমস্যার সমাধানের কাজ করছেন।












Leave a Reply