মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতা:— মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও আদিবাসী জমি দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।যা ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকা মালদা জেলা জুড়ে।
মালদা জেলার পুরাতন মালদা থানা এলাকার ১২ নং জাতীয় সড়কের ধারে কয়েক কোটি টাকার জমি দখল করে রাতারাতি ঘর তৈরীর চেষ্টা করে খুশি রাজবংশী নামে এক তৃণমূল কর্মী। থানায় অভিযোগ জানিয়েও পুলিশ নীরব দর্শকের ভুমিকায়। উল্টে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের দিয়ে আদিবাসী ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। আর তাই অবশেষে আদালতে দারস্থ আদিবাসী ব্যক্তি।
পূর্ব রেল ডিভিশনের রেল কর্মী ডরমিক মার্ডির অভিযোগ তাঁর নামে ভুমি ও ভুমি সংস্কারের পরচা রয়েছে। জমিটি ফাঁকাই ছিল।হঠাৎ করে এই জমি দখলের চেষ্ঠা শুরু হয়েছে। জানতে পেরে পুরাতন মালদা থানাতে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ জারি করছেন আদিবাসীদের জমি নয়ছয় যেন না করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা অমান্য করা হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার মুখপাত্র আশিষ কুন্ডু বলেন এমন কাজ হয়ে থাকলে দল বরখাস্ত করবে না। আইনী ব্যবস্থায় শাস্তি হবে। বাম আমলে যেভাবে আদিবাসীদের জমি দখল হয়েছিল। এই রাজ্যে তৃণমূলের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জীর শাসনে হয় না।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরীর জানান সারা রাজ্য জুড়েই তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জমির দালালে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রেও আদিবাসীর জমি দখল করে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা দালালি করছেন।
অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী খুশি রাজবংশী জানান জমিটি তিনি ক্রয় করেছেন। তবে কি করে আদিবাসী জমি ক্রয় করেছেন। তার সদুত্তর পাওয়া যায় নি।
পুরাতন মালদা ভুমি ও ভুমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে জমির রেকর্ড করা ছিল না। তাই নকল তথ্য দিয়ে জমির রেকর্ড জমির কারবারীরা করে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুরাতন মালদায় কোটি টাকার আদিবাসী জমি দখলের অভিযোগ, তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে।












Leave a Reply