মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতা:— বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান।এলাকার মানুষের আন্দোলনের সফলতা।অবশেষে প্রতিশ্রুতি পূরণ।স্বাধীনতার পর প্রথম পাকা রাস্তা।কথা রাখলেন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ। পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার শিলান্যাস হতেই খুশির হাওয়া এলাকায়।মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের মোবারকপুর কালিতলা এলাকা। এই এলাকায় টেংড়িয়া পাড়া এসএসকে হয়ে কালীতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। স্বাধীনতার পর থেকে কোনদিনও পাকা হয়নি এই রাস্তা। মাঝে ইট দিয়ে রাস্তা হলেও তাও ভেঙে গেছে। বর্ষার সময় পায়ে হেঁটে চলাচলের অযোগ্য।কিন্তু ওই রাস্তা এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ওই রাস্তাতেই রয়েছে মাদ্রাসা। ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে রোগীরা বেহাল রাস্তার কারণে প্রত্যেকেই ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়। প্রায় ঘটে দুর্ঘটনা।দীর্ঘদিনের পাকা রাস্তার দাবি ছিল এলাকাবাসীর।কিন্তু বারবার ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি মিললেও তারপর আর দেখা মেলেনি নেতাদের।কিছুদিন আগে রাস্তা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ হয়। অবশেষে কথা রাখলেন স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য তথা মালদা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম।তার উদ্যোগে শুক্রবার ওই রাস্তার শিলান্যাস হল।পথশ্রী প্রকল্পে ১.৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৮৫ লক্ষ ৩৮ হাজার কোটি টাকা।শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা নিকুঞ্জ কুমার সাহা, তৃণমূল নেত্রী সালমি খাতুন প্রমুখ। মানুষের আনন্দ উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। অবশেষে প্রতিশ্রুতি পূরণ হওয়াতে প্রত্যেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রবিউল বাবুকে। জানা গেছে দ্রুত গতিতে নির্বাচন ঘোষণার আগেই কাজ সমাপ্ত হবে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় স্বস্তি, ৮৫ লক্ষ টাকার রাস্তা পাচ্ছে মোবারকপুর কালিতলা।












Leave a Reply