নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পঞ্চমীর দিনেও এত মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায় না এ বছর যা মহালয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে। না না কলকাতা কথা বলছি না, নদীয়া জেলাতেও একই অবস্থা। দর্শনার্থীরা জানাচ্ছেন, ভিড় এড়াতেই নাকি তাদের আগে ভাগে আসা, কেউ জানাচ্ছেন ফাঁকায় প্রথমে সমগ্র জেলাটা ঘুরে নেওয়া এরপর পরিবার সদস্যদের নিয়ে বিশেষ বিশেষ মণ্ডপে উপস্থিত হতে হবে। একদিকে সাবেকি মূর্তি এবং ধর্মীয় পরিবেশে বহু প্রাচীন দুর্গা পুজো দেখতে তারা পৌঁছেছেন শান্তিপুর, রানাঘাট কৃষ্ণনগর অন্যদিকে শিল্প নগরীর কল্যাণীতে পুজোর কটা দিন আদৌ পৌঁছাতে পারবেন কিনা সেই আশঙ্কায় এখনই অনুসন্ধানমূলক ভ্রমণ। অন্যদিকে সম্প্রতিকালে বাদকুল্লায় জন স্রোত বয়ে যায় এই কদিনে, তবে রানাঘাট পার্শ্বস্ত কালিনারায়নপুরে এত আগে থেকে এত মানুষের ঢল গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কালিনারায়নপুর সুহৃদ সংঘ সংঘের এবারের ৬০ বছরের পূজোয় মন্ডপসজ্জা করেছেন ভিনগ্রহীদের দেশ ।
আলোর খেলার অসাধারণ মুহুর্ত মোবাইল বন্দি করতে আগেভাগেই এ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা । ভেতরে অসাধারণ শিল্পকর্মের সাথে প্রতিমাও নজরকাড়া। তবে শুধু এই একটিই নয় এ বাদেও বেশ কিছু আকর্ষণীয় পূজো মণ্ডপ এবং অসাধারণ শিল্পকর্মের দুর্গা প্রতিমা দেখার জন্য পুজোর যে কোন একদিন ব্যয় করা যেতেই পারে। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন শুধু নদিয়া নয়, বাংলার মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছেন। আগত দর্শনার্থীদের জনসংখ্যার নিরিখে কলকাতার থেকে কোনো অংশেই কম নয় তাদের ক্লাব, সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রযুক্তির শিখরে দাঁড়িয়ে, মোবাইল হাতে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যাবে শুধু ছবি তুলতে। মন্ডপের মধ্যে অসাধারণ থ্রিডি উন্নত মানের মেশিনের কারসাজি দেখতে দেখতে রাত ভোরও হয়ে যেতে পারে ।