আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই চিরাচরিত প্রথা মেনে কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে সর্বত্র মহাধূমধামে পূজিতা হবেন তন্ত্র অনুসারে দশমহাবিদ্যার প্রথম দেবী কালী। দীপাবলির রংবেরঙের রঙিন আলোর আলোকসজ্জায় সাজো সাজো রব। চারিদিকে সেই মহাপ্রস্তুতির মাঝেই অসাধ্য সাধণ করলেন বাঁকুড়ার শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের স্কুল ডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা চৈতালী বিশ্বাস নামে এক গৃহবধূ।
আদ্যোপান্ত গৃহবধূ চৈতালি বিশ্বাসের ফেলে দেওয়া কিম্বা বাতিলের খাতায় নাম লেখানো জিনিসপত্র শিল্প সৃষ্টির নেশা দীর্ঘদিনের। এবার প্রায় পচে যাওয়া আলু দিয়ে তারা মায়ের মূখায়ব তৈরী করে তাক লাগালেন। মূলতঃ ওই দুটি পচা আলু, সামান্য আটা এবং পাট এবং কিছু মে সামগ্রী দিয়েই মাত্র ১৫ দিনের চেষ্টায় তিনি ওই কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে স্বভাবশিল্পী, গৃহবধূ চৈতালী বিশ্বাস বলেন, মাত্র কয়েক দিন আগেই রান্নার জন্য আলু কাটতে গিয়ে দু’টি প্রায় পচা আলু পাই, ওই অবস্থায় সেগুলিকে আর ফেলে না দিয়ে নতুন কিছু করার চিন্তা মাথায় আসে। পরে সামনে কালী পূজার কথা চিন্তা করে মায়ের মুখায়ব তৈরীর সিদ্ধান্ত নিই। কোন জিনিসই ফেলে দেওয়ার নয়, একটু মাথা খাটালে বাতিল সেই জিনিস দিয়েই ভালো কিছু করা সম্ভব সেই বিষয়টাই তিনি করে দেখানোর চেষ্টা করছেন বলে জানান।
গৃহবধূর এই কর্মকাণ্ড প্রশংসা কুড়িয়েছে শহরবাসীর।