মেদিনীপুর জেলা বিশ্বাস ঘাতক দের বিশ্বাস করে না : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মঙ্গলবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় ব্লকের বাখরাবাদ জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন মাঠে প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন মেদিনীপুর জেলা বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস করে না। এটা দার্শনিক, মনীষীদের জেলা, বিপ্লব আন্দোলনের জেলা, নেতাই ও নন্দীগ্রাম এর জেলা ,এই জেলা কারো কাছে কোনদিন বশ্যতা স্বীকার করে না। তৃণমূল কংগ্রেস মাথা নত করবেনা দিল্লির বহিরাগতদের কাছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে আপনাদের ঋণ শোধ করব। সেই সঙ্গে তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনা প্রকল্পের আট হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে দেয়নি, বাংলার বকেয়া পাওনা ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা , ১০০ দিন প্রকল্পের বকেয়া টাকা কেন্দ্র দেয়নি, আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দু বছর দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে না পেরে ইডি, সিবিআই ও বিচার ব্যবস্থার একাংশকে ব্যবহার করে খুব আনন্দে ছিল বিজেপি। এখন টিভিতে সমীক্ষার ফল দেখে সেই আনন্দ আর বিজেপির মধ্যে নেই। বিজেপি ও নির্দল জিতলে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত করবে। তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে অধিকার ফেরত পাবেন। এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার ভাষনে বলেন নির্দল প্রার্থীরা তৃণমূলের কেউ নয়, এদের কথা বিশ্বাস করবেন না , এরা দলে ফিরবে না কোনদিন। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের ঘাসের উপর জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে তিনি আশীর্বাদ করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন যে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে । বিজেপি ও তার জোট সঙ্গীরা দেশের বারোটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে এক হাজার করে টাকা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে দিয়ে দেখাক। আসলে বিজেপি মুখে বড় বড় কথা বলে কিন্তু কোন কাজ করে না। যারা আপনার অধিকারের টাকা কে আটকে রেখেছে তারা কি আপনাদের অনুদান দেবে। সেই সঙ্গে তিনি সর্বস্তরের মানুষকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ঘাসের উপর জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য আবেদন জানান এবং তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের পাশে ছিল আছে আগামী দিনেও থাকবে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *