নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখেন না গুনধর ছেলে এবং নাতি।ভিক্ষাবৃত্তি করে খেতে হয় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে।৭৫ বছর বয়সী ভূমিহীন বাবার একমাত্র বাস্তুভিটাটি গোপনভাবে পাট্টা করে নেওয়ার পাশাপাশি বাবা কে ঘর তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছেলে ও সিভিক ভলেন্টিয়ার নাতির বিরুদ্ধে।থানার দ্বারস্থ বৃদ্ধ দম্পতি।জানা গিয়েছে,হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিনগর গ্রামের বাসিন্দা ভূমিহীন রফিজুদ্দিন
(৭৫)দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী আসিফা বিবিকে নিয়ে দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে কবরস্থানের পাশে ছয় শতক সরকারি খাস জমিতে বসবাস করে আসছে।বৃদ্ধ দম্পতির একমাত্র জরাজীর্ণ কাঁচা ঘরটি ভেঙে পড়েছে।সেই ঘরটি মেরামত করার জন্য শ্রমিক ডেকে কাজ শুরু করলে ঘর তুলতে বাধা দেন ছেলে সফিক ও সিভিক ভলেন্টিয়ার তথা নাতি সালিমুদ্দিন।ছেলের দাবি ছয় শতকের মধ্যে দুই শতক জমি তার নামে এবং দুই শতক জমি তার বোনের নামে পাট্টা রয়েছে।তাই তাদের পাট্টাকৃত জমির উপর ঘর তুলতে বাধা দিয়েছেন।অপরদিকে বাবার অভিযোগ,
ছেলে তাকে পঞ্চাশ বছর ধরে দেখেন না।ভিক্ষাবৃত্তি করে তারা দুমুঠো আহার জোগাড় করেন।স্থানীয় এক তৃনমূল নেতার মারফতে টাকার বিনিময়ে চলতি বছরে গোপনভাবে তার বাস্তুভিটাটি পাট্টা করে নিয়েছে।সেই জমিতে ঘর তুলতে গেলে ছেলে ও সিভিক নাতি বাধা দিচ্ছে।পুলিশের ভয় দেখিয়ে বাকি জমিটুকু দখল করে নেওয়ার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ।