রাজ্যের এক মন্ত্রী কথায় কথায় তাঁদের ফড়ে বলে উল্লেখ করেছেন, এটা তাঁদের কাছে অত্যন্ত অসম্মানের : বিশ্বজিত মল্লিক।

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ-‘‘আমরা ফড়ে নই। সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান যখন কেনা হয় তখনই সৃষ্টি হয় এই তথাকথিত ফড়েদের। যাঁরা বিভিন্ন সংগঠন বা এজেন্সীর প্রতিনিধি কিংবা রাজনৈতিক নেতা। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ফড়ে অর্থ চোর। আমাদের ফড়ে বলার বিরোধিতা করছি।” বুধবার বর্ধমান টাউন হলে রাজ্য ধান্য ব্যবসায়ী সমিতির বর্ধমান জেলা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই গর্জে উঠলেন কনভেনার বিশ্বজিত মল্লিক। এদিন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব ছাড়া বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার, জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক অলোক মাঝি, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব মণ্ডল প্রমুখরাও। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বজিত মল্লিক জানিয়েছেন, রাজ্যের এক মন্ত্রী কথায় কথায় তাঁদের ফড়ে বলে উল্লেখ করেছেন। এটা তাঁদের কাছে অত্যন্ত অসম্মানের। তাঁরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা ধান ব্যবসায়ী। চাষীদের উত্পাদিত ধান কিনে তাঁরা খোলাবাজারে কুইণ্টাল পিছু মাত্র ৩ থেকে ৫ টাকা লাভে ওই ধান বিক্রি করেন। বিশ্বজিতবাবু জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উত্পাদিত হয়। এফসিআই এবং রাজ্য সরকার সবমিলিয়ে প্রায় ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনেন। বাকি ধান তাঁরাই কিনে চাষী এবং বাজারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেন। এই ধান তাঁরা বিভিন্ন রাইসমিলেও বিক্রি করেন। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বজিতবাবু জানিয়েছেন, গোটা জেলায় এই মূহূর্তে বিভিন্ন রাইসমিল থেকে তাঁদের অনাদায়ী অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এদিন তিনি দাবী করেছেন, প্রকৃত ফড়ে ও দালালদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করছেন তাঁরা। এদিন এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে ধান কেনায় ধান্য ব্যবসায়ীকে যুক্ত করা, রাস্তায় গাড়ি ধরার নামে জুলুমবাজি বন্ধ করা, মার্কেটিং ট্যাক্স বাতিল করা, ধানের সরকারী সহায়ক মূল্য ২৫০০ টাকা করা সহ কৃষক স্বার্থে সার ও ডিজেলে ভর্তুকি প্রদান করা প্রভৃতি দাবী তোলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *