খড়গপুর শহরের বায়ু শিল্পের দূষণের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েই চলেছে, প্রতিবাদ বিক্ষোভ।

0
476

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরকে দূষণ এড়াতে এবার পথে নামল খড়গপুর শহরের নাগরিক বিন্দ, প্রসঙ্গত খড়গপুর শহরের বায়ু শিল্পের দূষণের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েই চলেছে। প্রতিবছর শীত পড়লেই জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত রেশমী গ্ৰুপের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে সিলিকন মিশ্রিত কালো গুড়ো উড়ে এসে বাড়িতে প্রবেশ করছে। এমনকি শরীরের ভিতরেও ঢুকে চামড়, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ বাড়ছে। শীতের সময় এলেই বাচ্চাদের ও বড়োদের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। কালো ধুলোর কবলে গাছের পাতা, পুকুর, জলাশয়। গাছের পাতা তাদের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ঠিক মতো করতে পারছে না। যারজন্য ভবিষ্যতে হয়তো অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। পুকুরের জলে ধুলো পড়ায়, পুকুর ও জলাশয় বাস্তুত্রন্ত্র ক্ষতি হচ্ছে। খড়গপুর গ্ৰামীণের চাষবাস থেকে শুরু পশু চারণভূমি ক্ষতিগ্রস্ত। সামগ্ৰিক ভাবে পরিবেশের ক্ষতি হয়ে চলছে। দূষণের ভয়ংকরতা নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে লাগাতার আন্দোলন করে চলেছে খড়গপুর শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটি। দূষণের বিষয়টি বিধায়কের মাধ্যমে রাজ্যের বিধানসভায় উৎথাপিত হয়েছে। পূর্বে জেলাশাসকের দরবারে খড়গপুরের দূষণের ভয়ংকর চেহারা নজরে আনা হয়েছিল। কিন্তু দূষণ কমছে না। কারখানা বেশ কিছু ছোট ব্যবস্থা গ্ৰহণ করলেও, দূষণের মূল উৎস কালো ধোঁয়া, সিলিকন গুঁড়ো আটকানোর জন্য যে যন্ত্রপাতি চালানোর কথা, তা চালানো হচ্ছে না। তাই আজ গত ১৫দিনের খড়গপুর শহরের আক্রান্ত এলাকার এয়ার কলিটি ইনডেক্স(AQI) সহ সমস্ত তথ্যাদি সহ খড়গপুরের মহকুমা শাসকের দপ্তরে গণ ডেপুটেশন দেওয়া হয়।মঙ্গলবার এই গণডেপুটেশনে শহরের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, অধ্যাপক, স্কুল শিক্ষক, শিল্পীসহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মহকুমা শাসকের সঙ্গে দূষণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা সাক্ষাৎ করে সমস্যা আলোচনা করেন, এবং দূষণের প্রভাব শুনে তিনিও চিন্তিত বলে জানান। দ্রুত কোম্পানি এবং দূষণ পর্ষদকে ডেকে পাঠিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করাবেন।
আজকের এই সভায় কমিটির সম্পাদক অনিল দাস জানান এই শিল্প দূষণ মানুষকে শেষ করার আগে দূষণকে আমাদের শেষ করতে হবে। সাহিত্যিক সুনীল মাজি বলেন শহরের কাউন্সিলর, পৌরসভা, জনপ্রতিনিধিদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। অধ্যাপক তপন পাল সহ দেবাশীষ দে, রনজিৎ মাজি, নিতাই চন্দ্র কুন্ডু প্রমুখ বিশিষ্ট জনেরা বক্তব্য রাখেন। খড়গপুর শহরের ঝাপেটাপুরের প্রগতি, খরিদার দিশা ফাউন্ডেশন, যতীন মিত্র স্মৃতি রক্ষা কমিটির মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here