একলা মা ছেলের সংসার, বাবা মারা গেছেন ২০১১ সালে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্ধকার নেমে আসে পিন্টুর জীবনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ – পরিশ্রমী ছেলে পিন্টু কর্মকার। তার মোবাইল সারাইয়ের দক্ষতা গ্রামের সকলের জানা। বাড়িতে রয়েছেন মা উমা কর্মকার। একলা মা ছেলের সংসার, বাবা মারা গেছেন ২০১১ সালে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্ধকার নেমে আসে পিন্টুর জীবনে। ধরা পড়ে কিডনির সমস্যা। বর্তমানে পিন্টুর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। ডায়ালিসিস নয়, এবার করতেই হবে কিডনি প্রতিস্থাপন। ছেলেকে বাঁচাতে এবং যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে বটবৃক্ষের মত এগিয়ে এলেন মা নিজেই। কলকাতার পিজি হাসপাতালে ফেব্রুয়ারি মাসের ৪-৬ তারিখের মধ্যে নিজের ডান দিকের কিডনি ছেলের দেহে দান করবেন উমা কর্মকার। বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম শুশুনিয়ার বাসিন্দা পিন্টু কর্মকার এবং উমা কর্মকার।

সংগ্রামে ভরা পিন্টু এবং তার মা উমা কর্মকারের জীবন। ২০১১ সালে পিন্টুর বাবা জন্ডিসে মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর গ্রিল তৈরির কাজ করে সংসার চালান পিন্টু। তারপর ২০১৮ সালে গ্রামেই ছোট্ট একটি মোবাইল সারানোর দোকান খোলেন তিনি। ২০২০ সালে কিডনির রোগ ধরা পড়ার পর বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা শুরু হয়। বর্তমানে কলকাতার পিজি হাসপাতালে বিনামূল্যে পিন্টু কর্মকারের কিডনি প্রতিস্থাপিত হবে। যদিও অপারেশন ছাড়া যাওয়া-আসা, থাকা – খাওয়া এবং চিকিৎসা ও ওষুধের আনুমানিক খরচ ৫-৬ লক্ষ টাকা। মা ছেলের সংসারে দারিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট। এই অনবরত লড়াইয়ে যেন তারা মানসিক এবং আর্থিক ভাবে পেড়ে উঠছেন না।

ছেলেকে বাঁচানোর এই লড়াইতে উমা কর্মকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসী থেকে শুরু করে বন্ধু বান্ধবরা। তবে এখনও প্রয়োজন ৪-৫ লক্ষ টাকার। সেই কারণেই ছেলে পিন্টু কর্মকার এবং মা উমা কর্মকার দুজনেই সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *