ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার এক শিক্ষকের।

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়া: – অত্যন্ত মৃদুভাষী, পরোপকারী, সবার সঙ্গে অতি সহজেই মিশতে পারার অসাধারণ গুণাবলীর অধিকারী, পেশায় শিক্ষক, বিশিষ্ট কবি, গল্পকার, পত্রিকা সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্ত্তী প্রয়াত। সিমলাপালের বিক্রমপুর গ্রামের বাড়িতেই তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। সোমবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাঁকুড়ার সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, সিমলাপালের বিক্রমপুর গ্রামেই জন্ম আটচল্লিশ বছর বয়সী সুব্রত চক্রবর্ত্তীর। পড়াশুনা শেষ করে বিক্রমপুর রাধাদামোদর উচ্চ বিদ্যালয়ে পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন। পরে তিনি একটি হাই স্কুলে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকতার চাকরী পান। ব্যক্তি জীবনে ‘অত্যন্ত ভালো মানুষ’ হিসেবে সুব্রত চক্রবর্ত্তী জেলা ও জেলার বাইরে অসংখ্য পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর ‘যাবো-যাবো-যাচ্ছি…’গল্প গ্রন্থটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

প্রয়াত সুব্রত চক্রবর্ত্তীর পরিবার সূত্রে খবর, এদিন সকালে বিক্রমপুর মোড়ের তাঁর বাড়ির দোতলার ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মানসিক অবসাদে ভূগছিলেন। তাঁর বৃদ্ধ বাবা, এক ছেলে, ভাই ও ভাইয়ের পরিবার রয়েছেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিমলাপাল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট, মোবাইল সহ অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করেছে বলে খবর। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *