নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- বৃদ্ধা মা ও বড় দাদাকে খুনের অভিযোগ উঠলো ছোটো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মৃতদের নাম যথাক্রমে লক্ষী বাউরী (৫৬) ও দেবু বাউরী (৪০)। এই ঘটনায় আহত ওই পরিবারের আরও তিন জন। সোমবার রাতে খাতড়া শহরের জলডোবরার দুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় কাঠ মিস্ত্রী বছর তিরিশের গৌপী ওরফে শিবু বাউরী এদিন রাতে বাড়িতে ঢুকে আচমকাই বৃদ্ধা মা লক্ষী বাউরীকে শাবল দিয়ে আঘাত করে। চিৎকার শুনে বড় দাদা দেবু বাউরী বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলে তাকেও ওই শাবল দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মা লক্ষী বাউরী ও দাদা দেবু বাউরীর। এরই মাঝে ওই দু’জনকে বাঁচাতে এলে আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি মৃত দেবু বাউরীর স্ত্রী মঙ্গলা বাউরী, তাদের অন্তঃস্বত্বা মেয়ে শিখা বাউরী ও বাড়িতে থাকা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বোন সুলেখা বাউরীও। একই পরিবারে দু’জন খুনের ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খাতড়া থানার পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত গোপী ওরফে শিবু বাউরীকে রাতেই গ্রেফতার করার পাশাপাশি মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় গুরুতর আহত মঙ্গলা, শিখা ও সুলেখা বাউরীকে হাসপাতালে পুলিশের তরফে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মা-মেয়ে মঙ্গলা ও শিখার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। রাতেই হাসপাতালে যান খাতড়ার এসডিপিও অভিষেক যাদব।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে অভিযুক্তদের বড় বৌদি ‘আহত’ মঙ্গলা বাউরী বলেন, ঠিক কি কারণে এই আক্রমণের ঘটনা স্পষ্ট নয় তাদের কারো কাছেই। এই জোড়া খুনের ঘটনা ছোটো দেওর গোপীই ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
Leave a Reply