সদ্য বিবাহিত স্বামীর কাছ থেকে আলাদা করার দুঃখে বিষ খেলো এক মহিলা।

0
92

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :-  সদ্য বিবাহিত স্বামীর কাছ থেকে আলাদা করার দুঃখে বিষ খাওয়া !শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্যালাইন চলা চিকিৎসারত অবস্থায় রোগী উধাও!
বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর্মী নার্স ডাক্তার গেটম্যান সিসি ক্যামেরা সবকিছুই রয়েছে শুধু নেই চিকিৎসারত এক রোগী। তাও আবার হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায়!
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর জেনারেল হাসপাতালে, যেখানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হওয়ার কথা উঠে আসে মাঝেমধ্যেই।
শান্তিপুর শহরের কারিগর পাড়া লেনে সাত ভাই পাড়ার ১৮ বছর বয়সী আয়েশা খাতুন গতকাল শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে। আজ সকাল থেকে শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়, মা শাকিলা খাতুন সন্ধ্যার সময় ছিলেন তার সাথেই, মেয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ আনতে গিয়ে ছিলেন কুড়ি মিনিটের জন্য ফিরে এসে দেখেন বেডে নেই মেয়ে। পার্শ্ববর্তী ভর্তি রোগীর মোবাইল থেকে কাউকে একটি ফোন করে সে বেরিয়েছিলো। অথচ সেই নাম্বারটি ফোন করার পর ডিলিট করে দিয়েছিল আয়েশা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী শান্তিপুর থানায় বিষয়টি জানালেও, নিখোঁজ রোগীর পরিবারকে তারা জানিয়েছেন এত মানুষ আসতে যাচ্ছে কিভাবে সকলের খেয়াল রাখা সম্ভব! পরিবারের প্রশ্ন তাহলে সিসি ক্যামেরা এত লোক লস্কর গেটম্যান নিরাপত্তারক্ষী কাদের জন্য? যদিও সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি কর্তৃপক্ষ, এর আগেও দু-একবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিলো।
তবে পরিবার সূত্রে জানা যায় নৃসিংহপুর কালনার ওপারে অভিজিৎ নামে কোন একটি ছেলের সাথে তার সম্পর্ক তৈরি হয় এক মাস আগে গত কয়েকদিন আগে তারা পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করে কিন্তু ছেলেটির নিজস্ব বাড়িঘর কিছু না থাকার কারণে এবং স্বজাতি না হওয়ার কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে না নেওয়ার ফলে সেখানকার এলাকাবাসী যোগাযোগ করে আয়েশার পরিবারের সাথে এরপর আয়েশাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে তার মামারা। বিচ্ছেদের কারণেই তার বিষ খাওয়া , তবে আজকেও হয়তো পরিবারকে ফাঁকি দিয়ে সে রওনা দিয়েছে সদ্য বিবাহ করা প্রেমিকের কাছে, কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে অভিজিৎ নামে আয়েশার ওই স্বামী জানান তার সাথে কোন যোগাযোগ হয়নি। যদিও এ বিষয়ে আয়েশার পরিবার থেকে আগামীকাল শান্তিপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হবে বলেই জানা গেছে। তবে রাত দশটায় শান্তিপুর থেকে নদী পেরিয়ে একা কালনায় যদি গিয়ে থাকে তাহলেও মাঝপথে কোন বিপদ হতে পারে এই দুশ্চিন্তা পরিবারের। তবে ১৮ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে বিবাহের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই তাই, পুলিশ প্রশাসনেরও এক্ষেত্রে গুরু দায়িত্ব বর্তায় না, তবে তাকে খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে কালনা থানার সাথে যোগাযোগ চলছে বলেই সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here