নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গোটা জেলা জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় নিরাপত্তায় ভুগছে বিজেপি কর্মীরা। কোথাও বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ, কোথাও আবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কে মারধরের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। এবার আহত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে শাসকদলের কর্মীদের হুমকির মুখে পড়তে হয় বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলী কে। এরপরেই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে রাস্তায় বসে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলী। ঘটনাটি এদিন নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের ঘোড়ালিয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের গবারচর মাঝের পাড়ার। সম্প্রীতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনার দিন থেকেই বোমা বাজি ও বিজেপি কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে শাসক দল তৃণমূল। তারপরের দিনই আবারো এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়, এরপর শুরু হয় দু দলের মধ্যে সংঘর্ষ। সেখানেই গুরুতর আহত হয় দুইদলের চারজন। তারা প্রত্যেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে এক মহিলা তৃণমূল নেত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়াই, আজ তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসকেরা। তবে আহত বিজেপি কর্মীরা এখনো স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই পঞ্চায়েতে বিজেপি কর্মীরা কি অবস্থায় আছে এবং আহত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে দেখা করতে যান বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলী। অভিযোগ সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা লাগাতার হুমকি দিতে থাকে। খবর ছাড়াতেই কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক একত্রিত হয়ে বিজেপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলীকে সাথে নিয়ে রাস্তার উপরেই বসে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে বিজেপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলীর অভিযোগ, ভোটের পর থেকেই প্রত্যেকটি বিজেপি নেতা এবং কর্মীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। পুলিশ সম্পূর্ণ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে, আমাদের কর্মীদের কোন নিরাপত্তা দিচ্ছে না, উপরন্ত তৃণমূলের দালালি করে আরো অত্যাচার বাড়াচ্ছে। এই পঞ্চায়েতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের কোন গুরুত্ব কেউ। নেই এলাকায় কোন পুলিশ পিকেট, আর কেন্দ্র বাহিনীকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে এই পুলিশি। পুরো জেলা পুলিশের মদত রয়েছে, যাতে বিজেপি কে কোনঠাসা করা যায়, আমিও এর শেষ দেখে ছাড়বো। বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে অনির্বাণ গাঙ্গুলীর দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তার না দিচ্ছে পুলিশ ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে, পুলিশকে সরজমিনে এসে কথা দিতে হবে। যদিও পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন বিজিপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলী, এরপর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করতে যান। তবে এখন দেখার ওই পঞ্চায়েতে নিরাপত্তা নিয়ে কি ব্যবস্থা নেয় পুলিশ প্রশাসন।