পর্যটনের মরসুম গোটা দিঘাকে ‘নো হকার্স জ়োন’ হিসাবে গড়তে উদ্যোগী দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ।

0
177

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘায় একি কান্ড! সী বিচের ধারে ও রাস্তায় পর্যটকদের পথ আটকে বসে থাকা দোকান উচ্ছেদ দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের। গতকাল মাইকিং করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল গোটা সমুদ্র শহর জুড়ে। সী বীচ রোডের ধারেই নির্বিচারে দোকানদাররা বসেছিলেন বিগত কয়েক মাস ধরে। সরকারি নির্দেশিকাকে বুড় আঙ্গুল দেখিয়েই তারা রাস্তা ও সমুদ্র বীচ দখল করে বসে ছিলেন, যার জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছিল দীঘায় আসা পর্যটকদের।
উচ্ছেদ অভিযান আগেও হয়েছে একাধিকবার। তবুও দিঘার সৈকতে মেটেনি হকার সমস্যা। তাই, এই বছর পর্যটনের মরসুম গোটা দিঘাকে ‘নো হকার্স জ়োন’ হিসাবে গড়তে উদ্যোগী দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ । শুধু সৈকতের পাশে নয়, ওল্ড দিঘা এবং নিউ দিঘায় ১১৬ বি জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত রাস্তার পাশে থাকা হকারদেরও পসরা সাজিয়ে আর বসতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষ। যে সমস্ত দোকানদারের স্টল পেয়েছেন তারা নির্দিষ্ট স্থলের বাইরে রাস্তায়ও বসে যাচ্ছেন যার রীতিমত সমস্যায় ফেলছে পর্যটকদের।
ডিএসডিএ-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়,পর্যটনের মরসুমে কোনও হকারদের বেআইনিভাবে বসতে দেওয়া হবে না। আর তারা বসলেও ওল্ড এবং নিউ দিঘা জুড়ে চলবে হকার উচ্ছেদ অভিযান।গত কয়েক বছর ধরে সৈকত শহর হকার সমস্যায় জর্জরিত। সৈকত জুড়ে দিনভর হকারদের দাপটে সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। বেশ কয়েকবার প্রশাসনিকভাবে অভিযান চালিয়ে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন স্টলও দেওয়া হয়েছে। তবে এর পরেও সৈকতের ধার জুড়ে গজিয়ে উঠেছে সারিসারি হকারদের পসরা। গত বছর বড়দিনের আগে এই হকার সমস্যা মেটাতে আন্দোলনে নেমেছিলেন স্থায়ী দোকানদারেরা। তা নিয়ে ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল সৈকতে। যাতে এবার ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য আগেভাগে ডিএসডিএ-র এই উদ্যোগ বলেই দাবি প্রশাসনের।
অন্যদিকে প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পর্যটকেরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here