নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে হয় বাসন্তী পুজো। মনে করা হয়, চৈত্র মাসের বাসন্তী পুজোই আসল দুর্গাপুজো। আর এই পুজো চৈত্র নবরাত্রির বিশেষ তিথিতে হয়। সেরকমই আজ হলো নবমী তিথি। আজ আবার দশরৎ পুত্র রামের জন্মতিথিও বটে। তাই এই বিশেষ দিনটি মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে সারা দেশে। সেইমতো নদীয়ার শান্তিপুরে বাইগাছি পাড়া রাধাগোবিন্দ মন্দিরে পালিত হচ্ছে রামনবমীর বিশেষ পুজো এবং বাসন্তী পুজো উপলক্ষে কুমারী পুজো, বলাহয় এই বাসন্তী পুজো আদি দুর্গাপুজো রাজা সুরথ এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। তাই এই বিশেষ তিথিতে দেবী দুর্গার কুমারী রূপ কে নিষ্ঠার সাথে পুজো করা হচ্ছে বৈদিক মন্ত্রউচ্চারণের মাধ্যমে। ষড়সউপাচারে চলছে পুজোপাঠ এবং হোমযোগ্য। পাশাপাশি এই মন্দিরে রাম নবমী উপলক্ষে রাম চন্দ্রের বাল্য রূপ কে ভোগ নিবেদনের মাধ্যমে আরতি সহকারে পুজো করা হচ্ছে। মন্দিরএর প্রধান সেবায়েত মহারাজ শচীদানন্দ দাস ব্রহ্মচারী জানাচ্ছেন, প্রতি বছরই মহা সমারোহে দেবীর পূজা হয়ে আসছে। এমনিতেও মন্দিরে শরৎ কালে যে দুর্গাপুজো হয় সেই পুজোও করা হয়। সেরকমই বসন্তকালে বাসন্তীপুজোর আয়োজন করা হয়। তবে শাস্ত্রে আছে কুমারী পুজো দেবীর পূজার মহাত্ম অনেক বাড়িয়ে দেয়। তবে শাস্ত্র মেনেই এখানে হচ্ছে কুমারী পুজো। তৎসহ রাম লালার পুজো। যদিও কুমারী পূজোর পরে দেবীর পূজারচণার সাথে চলে হোম যজ্ঞ এবং এই পুজোকে কেন্দ্র করে আশেপাশের এলাকা সহ বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের জমায়েত হয় মন্দির প্রাঙ্গণে। মন্দিরে পুজো দিতে আসা এক ভক্ত জানাচ্ছেন, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে মহাসমহরহে বৈষ্ণব মতে দেবীর আরাধনা করা হয়। তৎসহ চলে নবমী তিথি উপলক্ষে অভিষেক এবং তার জন্ম উৎসব পালন অনুষ্ঠান।