স্বামীকে মাদক সেবনে বাঁধা দিতে গিয়ে মারধরের পর স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা, তিন দিন ধরে নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর শুক্রবার মারা গেল।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—মৃত্যুর কাছে হেরে গেল দুই সন্তানের মা।তিন দিন ধরে নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর শুক্রবার মারা গেল বলে খবর।অভিযোগ,
স্বামীকে মাদক সেবনে বাঁধা দিতে গিয়ে মারধরের পর স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের শক্তল গ্রামে।অভিযোগ উঠেছে স্বামী শাহেনশা আলি,শ্বশুর সফিউল হক ও শ্বাশুড়ি সেবেরা বিবির বিরুদ্ধে।ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন মেয়ের পরিবার।স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রায় সাত বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সালালপুর গ্রামের আশরাফুল হকের মেয়ে আদরী খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী শক্তল গ্রামের শাহেনশা আলির।শাহেনশা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক।তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তবে সে বাড়িতে বসে ব্রাউন সুগার খেত।স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে বেধড়ক ভাবে মারধর করত।স্বামী,শ্বশুর ও বাড়ির লোকেরা কারণে-অকারণে আদরীর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাত।এই গন্ডগোল মিটানোর জন্য বহুবার গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়।কিন্তু এরপরও স্থায়ী কোন সমস্যার সমাধান ঘটেনি।অভিযোগ,গত রবিবার
আদরীকে মাঠে কীটনাশক দিতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।সেখানে বধূকে মারধর করে।এরপর বাড়িতে এনে ঘরে আটকে আবার বেধড়ক ভাবে মারধর করে স্বামী,শ্বশুর ও শাশুড়ি।এমনকি তাকে হত্যা করার জন্য মুখে বিষ পর্যন্ত ঢেলে দেয়।স্থানীয়রা আদরীকে অজ্ঞান অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসকরা আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন।সেখান থেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করে দিলে গৃহবধূর বাবা মালদা এক বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে যায়।সেখানে আইসিইউ কক্ষে তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াইয়ের পর শুক্রবার সকালে মারা যায়।অভিযুক্তদের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত মধুর বাবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *