এই মূল্য বৃদ্ধির বাজারে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর পীরপুকুর পালপাড়া মৃৎশিল্পীরা গত ২৫ বছর ধরে ফুলের টব বানিয়ে আসছেন।

উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ-বর্তমান সময়ে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের বেড়েছে শৌখিনতা।কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক সময় বাধ সাধছে অস্বাভাবিক হারে মূল্যবৃদ্ধি। আমজনতার পকেটে এর ফলে টান পড়ছে অনেক কিছু সখ করার ইচ্ছা থাকলেও।কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সেই সব আমজনতার মুখে একটু হলেও হাসি ফুটিয়েছে।তারা হলেন শিল্পীরা।
এই মূল্য বৃদ্ধির বাজারে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর পীরপুকুর পালপাড়া মৃৎশিল্পীরা গত ২৫ বছর ধরে ফুলের টব বানিয়ে আসছেন। যার মূল্য মাত্র চার টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি এখন। পীরপুকুর পালপাড়ায় গিয়ে দেখা গেল পদ্মা পাল নামে এক মহিলা মৃৎশিল্পী সকাল থেকে মাটির টব বানাতে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। একের পর এক তিনি মাটির টব বানিয়ে চলছেন। তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এই মাটির টব গুলোর মূল্য মাত্র চার টাকা। তিনি বলেন আজকের দিনে অনেকেই বাড়ির ছাদের উপর বিভিন্ন ধরনের বাহারিয়া ফুলের গাছ লাগান। এক্ষেত্রে তারা যে সমস্ত মাটির টব গুলো ব্যবহার করেন তার মূল্য অনেক বেশি। তাই অনেক সময় দেখা যায় এত মূল্য দিয়ে মাটির টব কিনে ফুলের গাছ তাদের পক্ষে লাগানো সম্ভব হয় না অনেক সময়। কারণ একটাই প্রচন্ড মূল্যবৃদ্ধি। তাই সে সমস্ত মানুষদের কথা চিন্তা করে তিনি একেবারে ন্যূনতম মূল্যে এই মাটির টব গুলো তৈরি করছেন। যার মূল্য মাত্র চার টাকা। পদ্মা দেবী আরো বলেন এই কাজ তিনি করে আসছেন গত ২৫ বছর ধরে। কালিয়াগঞ্জ এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা এসে তার কাছ থেকে এই মাটির টপ গুলো কিনে নিয়ে যান। এর পাশাপাশি তিনিও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান এই মাটির টপ গুলো বিক্রি করতে। লাভ তেমন না হলেও বাপ ঠাকুরদার এই জাত ব্যবসা কে টিকিয়ে রাখতে স্বামীকে কিছুটা হলেও আর্থিক দিক দিয়ে সহযোগিতা করতে পেরে তিনি ভীষণ খুশি।
অপরদিকে এই পালপাড়া পীর পুকুরের এক বাসিন্দা সান্তনা রায় বলেন এই মূল্য বৃদ্ধির বাজারে যেভাবে চার টাকা দিয়ে পদ্মা পাল দীর্ঘদিন ধরে মাটির টপ বানিয়ে আসছেন তা নজিরবিহীন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *