পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ-দুই বর্ধমানকে নিয়ে বর্ধমানে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় ট্রেনের পরিবর্তে বাসে যাবার ওপর জোড় তৃণমূলের । আগামী ২১ জুলাইয়ের সভায় ট্রেন নয়, বাসের ওপরই বেশি ভরসা রাখার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এই দুই জেলার মিলিত প্রস্তুতি সভায় এই বাস পরিষেবা নিয়েই জোড়ালো সওয়াল করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের নেতারা। এদিন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, একটা অনুরোধ করছি। বাসের ব্যাপারে যে যার যত ঘনিষ্ঠ সে বেশি পায়। যার ঘনিষ্ঠতা কম সে কম পায়। নেতৃত্ব সবাই বসে আছেন, কাউকে সরাসরি বলছি না। এটা করবেন না। অন্যদিকে, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এদিন বলেন, বাসের ব্যবস্থা করতে গিয়ে যদি কোনো ব্লক নেতৃত্ব সমস্যায় পড়েন, তাহলে জানাবেন, ব্যবস্থা হবে। রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এদিন প্রস্তাব রাখেন, প্রতিটি জনপ্রতিনিধি যদি ১০জন করে লোক নিয়ে যায় তাহলে সংখ্যাটা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক শাখা সংগঠন। তারাও যদি নিজেদের দায়িত্বে লোক নিয়ে যান তাহলে পূর্ব বর্ধমান জেলা রেকর্ড সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে, এই দুই জেলার প্রস্তুতি সভার আহ্বায়ক তথা দুই জেলার পর্যবেক্ষক রাজ্যের বিদ্যুতমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, নির্বাচন চলছে। মানুষ তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে ভোট দেবেন এবং তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই ভোট দেবেন। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহের বক্তব্য প্রসঙ্গে অরূপবাবু বলেন, একজন বিধায়কের বক্তব্য থাকতেই পারে। আরও অনেক কিছু বললেন সেগুলো কিছু মনে হলো না। বাসের বিষয়ে বেসরকারি বাসে বেশি জোড় দিতে বলা হয়েছে। কারণ আমরা দেখেছি রেল কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃ সুলভ আচরণ করছে। রেল তুলে নিচ্ছে। রেল বন্ধ করে কি তৃণমূলের সভা আটকানো যায় নাকি। কোন দিনও আটকানো যাবে না। মানুষ প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়। এই ক্ষমতা, আকর্ষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আছে। তাই মানুষ প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে যাবেন। নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোলেরও খবর নেই। আমরা দেখছি প্রার্থীর মাকেও আমাদের পৌরপতি নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়াচ্ছেন। গণতন্ত্রে এর থেকে আর বড় কোন শিষ্টাচার হতে পারে। হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিটি তৈরি করে একমাসের সময় দিয়েছেন রূপরেখা তৈরি করতে। আমরা সেই কাজ করছি। কোনও মানুষ যাতে বেকার না হন সেই দিকে লক্ষ্য রাখা।