বর্ষাকাল জুড়ে ট্রি টপ প্লান্টেশন করা হল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন প্রান্তে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- সবুজায়নের লক্ষ্যে এবারে ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। ট্রি টপ প্লান্টেশনের মধ্য দিয়ে সবুজ বিপ্লব ঘটতে চলেছে বলে দাবি বনকর্তাদের। বর্ষাকালেই পালিত হয় বন মহোৎসব। এই উপলক্ষে বর্ষাকাল জুড়ে ট্রি টপ প্লান্টেশন করা হল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন প্রান্তে। কি এই ট্রি টপ প্লান্টেশন? বড় গাছের ডালে গাছের চারা রোপন করা। বস্তুত বট, অশ্বথ, ডুমুর, পাকুর গাছের বীজ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে নার্সারিতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কারণ এ-ই সব গাছের বীজ সরাসরি মাটিতে পুঁতলে তা থেকে চারা গাছ হয় না। একমাত্র পাখিদের পাকস্থলীর মধ্যদিয়ে মল ত্যাগে বেড়িয়ে এলেই তা থেকে চারা তৈরি হয়। কিন্তু নার্সারিতে বিশেষ পদ্ধতিতে এই সব চারাগাছ মাটিতে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার থেকে চারাগাছ বের হতে সেগুলিকে বড় গাছের ডালে মাটির মন্ড ও চটের বস্তা সমেত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০০ চারা গাছ বিভিন্ন গাছের মগডালে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জলদাপাড়ার নর্থ, ইস্ট, ওয়েস্ট, চিলাপাতা, কোদালবস্তি এলাকায় হয়েছে ট্রি টপ প্লান্টেশন। চারা গাছ গুলির উপর নজর রাখা হবে জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে।

কিন্তু মাটিতে না লাগিয়ে গাছে কেন?

বন কর্তারা জানাচ্ছেন এই সব গাছের পাতা ও কান্ড হাতি সহ অন্যান্য তৃণভোজিদের পছন্দের খাদ্য। সেই কারণে বনের ভেতর মাটিতে থাকলে এই সব গাছ খেয়ে নষ্ট করে দেয় বুনো জন্তুরা। আর সেই কারণে তাদের হাত থেকে বাঁচাতেই গাছের উপর গাছ লাগানোর উদ্যোগ বন দপ্তরের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *