নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—মালদা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে তিলাসনে রয়েছে এই জমিদার বাড়ি। পাঁচ রাউন্ড শূন্যে বন্দুকের গুলি চালিয়ে জমিদার বাড়ির দূর্গাপুজোর সূচনা করা হয়।এখনো পুরনো রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে জমিদার বাড়ির। জমিদারি চলে গেলেও পুজোতে কোন খামতি নেই।বর্তমানে বংশধর রাকেশ কুমার রায় সেই পূজোর দায়িত্ব নিয়ে নিয়ম মেনে পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন। পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে অংশে পড়লেও আজও ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমান্তের কাঁটাতার থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত বিশাল জমিদার বাড়ি। সময়ের সাথে জমিদারি চলে গেলেও রয়েছে সুবিশাল বাড়ির বিভিন্ন অংশ জুড়ে ধরেছে ফাটল। কিন্তু এখনো অক্ষুন্ন রয়েছে ঐতিহ্য।প্রথা মেনে এবারও হতে চলেছে সিঙ্গাবাদের জমিদার স্টেট এর দুর্গা পুজো।
২২৩ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে।এবছর ২২৪ বছরে পড়তে চলেছে। উত্তর প্রদেশ থেকে এই জমিদার পরিবার ব্যবসায়িক সূত্রে চলে আসেন। এখানেই জমিদারি কিনে তাদের রাজত্ব শুরু করেন। দেশ স্বাধীন হলে তাদের জমিদারি সিংহভাগ অংশ চলে যায় সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে বাংলাদেশে কিন্তু বাকিটা থেকে যায় ভারতবর্ষে। সেই আমলে ব্রিটিশ শাসক থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে আসতেন। এমন কি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সীমান্তের ওপর থেকে মানুষ আসতেন এই পুজো দেখতে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন সেই রকম পরিস্থিতি নেই। তবে রয়ে গেছে ঐতিহ্য। রয়েছে ইতিহাস। প্রাচীন এই জমিদার বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরলেও এখনো দেওয়ালে রয়েছে বিশাল বাড়ি। এখনো এই পুজো উপলক্ষে চারদিন থাকে পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সীমান্তবর্তী গ্রামে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে আসেন বহু মানুষ।