বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দুস্থ পরিবারের কচিকাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে এলেন , শিক্ষক-শিক্ষিকা, কবি সমাজসেবী এবং চলচ্চিত্র নায়ক। রোদ ঝলমলে সকাল কিংবা রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকার এই দুইয়ের কোনোটির পার্থক্য নেই অন্ধ জনের তেমনি দুস্থ পরিবারের নিরীহ বালক বালিকাদের কাছে উৎসবের কিংবা সাধারণ দিনের মধ্যে বিশেষ একটা পার্থক্য নেই কারণ যাদের পরিবারে একটু ভালো-মন্দ খাবার সন্তানদের মুখে তুলে দিতে দিবারাত্রি মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় তাদের কাছে উৎসবের কেনাকাটা করাটা বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই নয়, অবশ্যই এ কথা বোঝার কচি কাচাদের নেই তাইতো তারা অসহায় দৃষ্টিতে বোবা কান্নায় গুমড়ে গুমড়ে কাঁদে মনে মনে, আর ভাবে তারা গরিব তারা বড়ই দুঃখী।
উৎসবে সচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা দামি দামি নতুন পোশাক পরিধান করে যখন আনন্দে হই হই করে চারিদিক ঘুরে বেড়াই তখন দুস্থ পরিবারের অসহায় ছেলেমেয়েদের চোখে ঝড়ে জল।
বেদনাহত মনে বিড়বিড় করে নিজেদের সঙ্গে নিজেরাই , বলে – তাদের বাবা মা বড়ই গরিব, দিতে পারে না ভালো খাবার দামি নতুন পোশাক দেবে কিভাবে ?
কোন কোন দুস্থ পরিবারের সন্তানদের জন্য হয়তো আসবে নতুন কিছু বস্ত্র কিন্তু যা হবে খুবই সস্তায় আর তা দেখে আনন্দের জায়গায় নিরানন্দে ভরে যাবে সন্তানদের মন, আর এইসব অসহায় পরিবারের ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়েদের কথা ভেবেই আজ মহালয়ের শুভ দিনে নতুন বস্ত্র হাতে তুলে দেওয়া হয়, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সমাজসেবী এবং চলচ্চিত্র নায়ক। নতুন পোশাক হাতে পেয়ে যেন আকাশের চাঁদটাই তারা হাতে পেয়েছে চোখেমুখে সেই রকমই আনন্দের ঝিলিক খুশির হাসি কচিকাঁচাদের চোখে মুখে।
পৃথিবীটা বড় সুন্দরই হত যদি এভাবেই মানুষ ভাবতে শিখতো এবং সবাই সবার পাশে গিয়ে দাঁড়াত কিন্তু তা তো হবার নয় তবে এই স্বার্থপর সময়ে এখনো কিছু মানুষ আছেন যাঁরা আজও ভাবেন অসহায়দের সুখ দুঃখের কথা , আজও তাঁরা দাঁড়ান সেইসব পরিবারের পাশে আর সেরকমই এক চিত্ত ধরা পড়লো আমাদের সাংবাদিকের ক্যামেরায়।