সন্ধ্যা তুই কেমন আছিস
তুই ভীষণ অভিমান করে আমায় চিঠি লিখেছিস।
অভিমান কি তোকে মানায় —
আসলে আগের মত এখন আর চিঠি লেখে লেখি
হয় না।
তুই আর আমি পুরনো হলেও কিন্তু মিলে মিশে আছি ডিজিটাল যুগে।
তাই আর লেখা হয়ে এঠেনা,
বয়সের একটা শেষ ধাপে এসে পৌঁছে গেছি।
কাল যত পুরনোই হোক বেলা শেষে এসেও দুঃখ গুলো
মনের এক ঘরে ভীষণ ভাবে আমাকে যন্ত্রণা দেয়,
খুব বেশী স্বার্থপর।
সময় অসময় আমার সামনে এসে দাড়ায়।
না আগের মত কবিতা লেখা হয় না —
কোথায় যেনো মন আমায় টানে একটা ডাইরী আর একটা কলম প্রায় কয়েক বছর শুন্য হয়ে পড়ে আছে।
তুই আমাকে লিখেছিস —
মাঝে মাঝে তুই আমকে বুঝিসনা।
সন্ধ্যা বৃক্ষের মত এক জোড়া চোখ তোর, তোর হাসির শব্দে বৃষ্টি ঝড়ে।
তাই তো আমার ভালোবাসা তোর চলার পথের সাথী।
আর আমার জীবন ভাঙ্গা দরজার ওপাশে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে আছে।
হুট করে বেলা শেষে এসে নোখ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে
আমার কষ্ট গুলো জীবন্ত করোনা।
সন্ধ্যা কাছে আমার ভালোবাসা গুলো ছেড়া শার্টে মত
আলনায় আর হ্যেঙ্গারে ঝুলছে।
আমি সত্যি একটু বেশি অসামাজিক হয়ে পড়েছি
পুরনো সময় গুলো আমার কাছে ভীষণ যান্ত্রিক মনে হয়।
নিজের অজান্তেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি,
মনের ভিতরে যে আমি আছি তার সাথেও সকাল
বিকেল সন্ধ্যা ওখানেও আমার যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছি।
আমি যেনো নিজের কাছ থেকে হাড়িয়ে যাচ্ছি।
এখন তোর সাথে আমার একটা সম্পর্ক আছে —
বসন্তের বাতাসে বিষাদের ঘ্রাণ
যা আমার হযম হয় না।
আমার মস্তিষ্কের ভিতর পচন ধরুক আমি চাই না।
তুই যখন ভালোবাসা নিয়ে একান্ত মগ্ন
আমি তখন একলা ভীষণ।
দুঃখ পুষি মনে মনি।
সন্ধ্যা আজ এই পযন্তই থাক।
সন্ধ্যা আমি তোর স্মৃতি রেখেছি খুব যত্নে।
কারন আমার সহ্য করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে।
আমার কোন গন্তব্য নেই, মাথার উপর যে আকাশ
ছুঁয়েছ ওটা আমার জীবন।
সন্ধ্যা তুই আমার এখন বন্ধ দরজার ওপাশের বাসিন্দা।আর ভিতরে আমি আছি ওটা আমার অতীত ওটা
আমার একলা থাকার জীবন।
এখানে অন্যের মনের কোন বসতবাড়ি নেই।
এই দরজায় আর কড়া নেড়োনা।
লাজু চৌধুরী –