নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- আলোর উৎসবে বাড়ছে চিরাচরিত মাটির প্রদীপের চাহিদা। সামনেই দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। বিগত কয়েক বছর এই আলোর উৎসবের প্রধান উৎস ছিল রংবেরঙের বাহারী লাইট। কিন্তু ফের বিক্রি বাড়ছে গ্রাম বাংলার চিরাচরিত মাটির প্রদীপের। কালীপুজোয় প্রদীপ জ্বালানোর প্রচলন আজকের না বহু প্রাচীন। কিন্তু ধীরে ধীরে কালীপুজোয় প্রদীপ জ্বালানোর চল বদলে যায় রংবেরঙের নানান ইলেকট্রিক লাইটে। ঘরে ঘরে বাহারি লাইটের শোভায় প্রদীপের আলো ছিল ক্রমশ মুহ্যমান! একটা সময় দীপাবলীর সময়ে শহরের পাশাপাশি বাংলার ঘরে ঘরে বাহারি আলোর দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছিল প্রদীপের শিখা। কিন্তু আবারও ধীরে ধীরে প্রদীপের শিখা প্রাণ ফিরে পারছে দীপাবলি উৎসবে। ফলে জটেশ্বরের পালপাড়ায় ব্যস্ততা মাটির প্রদীপ তৈরিতে।আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জটেশ্বর পালপাড়ায় এই মুহূর্তে প্রদীপ তৈরির ব্যস্ততা। কারণ মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে। জানা গিয়েছে, এই এলাকার মাটির প্রদীপ তৈরি করে পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন তারা। প্রতিবছর দুর্গাপুজো পর থেকেই মাটির প্রদীপ তৈরীর অর্ডার আসে দীপাবলি উপলক্ষে। বিগত বছরগুলিতে উত্তরোত্তর বাড়ছে প্রদীপ তৈরির অর্ডার। এবিষয়ে পুষ্প পাল জানান, ‘আগের তুলনায় কালীপুজোর সময় মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে। রংবেরঙের আলো যতই থাকুক মাটির প্রদীপের বিকল্প কিছু হয় না। তাই মানুষ কালীপুজোর দিন মাটির প্রদীপেই আস্থা রাখছে।’