মোমবাতির চাহিদা বেশি বেড়েছে, বিদেশিপণ্য বর্জন করে স্বদেশী পন্যের উপরে ঝুঁকছে শহর ও গ্রামাঞ্চলের সাধারন মানুষজন।

নিজস্ব সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: – দীপাবলি ও কালিপুজোতে বেড়েছে মোমবাতির চাহিদা। তাই এখন দিনরাত এক করে মোমবাতি তৈরিতে ব্যস্ত গঙ্গারামপুরের মোমবাতি প্রস্তুতকারকেরা। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন তারপরেই দীপাবলি ও কালীপুজো। আর কালিপুজো মানে আলোর উৎসব। প্রতিবছর কালিপুজোতে মোমবাতি ও প্রদীপের আলোতে সেজে ওঠে সকলের বাড়িঘর।কিন্তু এবারে মোমবাতির চাহিদা একটু বেশি বেড়েছে।কারন বিদেশিপণ্য বর্জন করে স্বদেশী পন্যের উপরে ঝুঁকছে শহর ও গ্রামাঞ্চলের সাধারন মানুষজন।

উল্লেখ্য আজ থেকে প্রায় কয়েকবছর আগে দীপাবলিতে মোমবাতির কদর ছিল যথেষ্ট।দীপাবলির সন্ধ্যায় মোমবাতির আলোতে সেজে উঠত বাড়িঘর।যার ফলে গঙ্গারামপুর শহরের বসাকপাড়া,বড়বাজার,হাইস্কুল পাড়া,এলাকায় গড়ে উঠেছিল বেশ কয়েকটি মোমবাতির কারখানা।কিন্তু বাজারে বিদেশীপণ্য টুনি বাল্ব,ইলেকট্রিক লাইট চলে আসায় কদর কম ছিল মোমবাতির।সারা বছর তো দূরে থাক দীপাবলি আসলেও মোমবাতির কদর কমে গিয়েছিল।যার ফলে গঙ্গারামপুরের দুই একটি মোমবাতির কারখানা বন্ধও হয়ে যায়। শহরের যে কয়েকটি মোমবাতির কারখানা রয়েছে সেগুলি কোনরকমে চলছিল।কিন্তু এবছর বিদেশীপণ্য বর্জন করে স্বদেশী পণ্যের দিকে ঝোঁক বাড়ায় দীপাবলিতে মোমবাতির কদর বেড়েছে যথেষ্ট।আর এতেই দিনরাত এক করে বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন দামের মোমবাতি তৈরি করে চলেছে গঙ্গারামপুরের প্রস্তুতকারকের।যার ফলে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখছে গঙ্গারামপুর মোমবাতি কারখানার মালিকেরা। এই বিষয়ে গঙ্গারামপুরের এক মোমবাতি কারখানার শ্রমিক জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *