কোলাঘাট রাধামাধব মন্দিরে গিরি গোবর্ধন পূজায় অন্নকূট মহোৎসব নিয়ে অগণিত ভক্তদের সমাগম।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা  :- আজ শনিবার প্রথানুযায়ী দীপাবলির চতুর্থ দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে কোলাঘাট রাধামাধব মন্দিরে অন্নকূট মহোৎসব উদযাপিত হল। প্রায় 50 জন সেবাইত ডাল, শুক্ত, ভাজি, পিঠে পুলি, পায়েস থেকে মিষ্টান্ন মিলিয়ে ছাপান্ন ব্যঞ্জন পদ রন্ধনের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। গোবর দিয়ে তৈরী করা হয় গিরি গোবর্ধন পর্বত। ভোগ নিবেদনের পর তা অগনিত ভক্ত মন্ডলীর মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজনে বিতরণ করা হয়। এর সাথে গত বিশদিন ধরে চলছে কঠোর কৃচ্ছ সাধন ও নিয়মানুবর্তিতা র সাথে দামোদর ব্রত মাস উদযাপন। এখন প্রতিদিন কোলাঘাট বাসীর ঘুম ভাঙছে প্রভাতী নগর কির্তনে। এক মাস ব্যাপী এই দামোদর ব্রত উদযাপনে সান্ধ্য কালীন ভাগবত পাঠ ও, বিশ্লেষণে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন জেলার বিশিষ্ট ভাগবত বিশারদগন। আজ শনিবার কোলাঘাট রাধামাধব মন্দিরে গিরি গোবর্ধন পূজায় অন্নকূট মহোৎসব নিয়ে অগণিত ভক্তদের সমাগম ও উৎসাহ ছিল নজরে পড়ার মত। আশ্রমের পক্ষে ভীম দাস জানান,- “গোবর্ধন পূজো যা অন্নকুট বা অন্নকূট নামেও পরিচিত। অন্নকূট অর্থাৎ খাদ্যের পাহাড়। যা হল একটি হিন্দু উৎসব যা প্রথম চন্দ্র দিবসে উদযাপিত হয়। কার্তিকা মাসের উজ্জ্বল পাক্ষিক, দীপাবলির চতুর্থ দিনে।
অন্নকূট মহোৎসব প্রধানত বৈষ্ণবদের উৎসব হলেও অনেক শাক্ত পরিবারে ও মন্দিরে এর চল আছে। এ পুজোর পিছনে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনি। বৃন্দাবন বাসীরা ৫৬ রকম পদের ভোগ দিয়ে বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্রের পুজো করত। কৃষ্ণ এক বার বৃন্দাবন বাসীদের ইন্দ্রপূজা করতে নিষেধ করেন। এতে দেবতা ইন্দ্র রেগে গিয়ে বৃন্দাবনের উপরে মুষল ধারে বর্ষণ করেন। বৃন্দাবন বাসীদের ওই বিপদ থেকে রক্ষার জন্য কৃষ্ণ গোবর্ধন পর্বতকে বৃন্দাবনের উপরে ছাতার মতো করে ধরে থাকেন। ইন্দ্র পরাজিত হন। তার পর থেকে কৃষ্ণের নির্দেশে বৃন্দাবন বাসী কার্তিক মাসে অমাবস্যার পর দিন ‘গিরি গোবর্ধন’-এর পুজো আরম্ভ করেন। পুজো শেষে ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয় ওই অন্নভোগ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *